সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

Notice :
সারা বাংলাদেশ ব্যাপী বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে..........চট্টগ্রাম অফিস: সৈয়দ নূর বিল্ডিং , এম এ আজিজ রোড, সিমেন্ট ক্রসিং, দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম।মোবাইল নাম্বারঃ ০১৯১১৫৩৩৩০৮, ০১৭১১৪৬৭৫৩৭, E-mail: gsmripon@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
অভয়নগরে নাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে পায়রা ইউনিয়নে থানা বিএনপি পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত জানুয়ারির মধ্যেই প্রাথমিকের শতভাগ শিক্ষার্থী বই পাবে -প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অবৈধভাবে পাহাড়ে বসবাসকারীদের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে – পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান অভয়নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ভূমিদস্যু এনজিএস সিমেন্ট কোম্পানির ছত্রছায়ায় ইয়ার মোহাম্মদ এর বিরুদ্ধে জোরপুর্বক জমি দখলের অভিযোগ সদরঘাট থানার উদ্যোগে থানা কম্পাউন্ডে সিটিজেনস্ ফোরাম কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। অর্থনীতিতে ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের অবদানের সুযোগ রয়েছে -সিভাসু উপাচার্য পতেঙ্গায় পশ্চিম মুসলিমাবাদ জিলানী নগর যুব সমাজের তাফসিরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হালিশহরের প্রস্তুতি ফুটবল ম্যাচে অনুর্ধ্ব -১৫ টিম জিতেছে

লালদিয়ার চরবাসি ; ভিটা ছেড়ে অজানা গন্তব্যে ২৩ শত পরিবার।

অসহায় পতেঙ্গা লালদিয়ার চরবাসি ; ভিটা ছেড়ে অজানা গন্তব্যে ২৩ শত পরিবার

ডেক্স নিউজ ঃ
অবশেষে বেস্তে গেলো চট্টগ্রাম পতেঙ্গা লালদদিয়ার চরবাসির সকল কাকুতিমিনতি, আবেদন, আর আন্দোলন। কাজে আসেনি উচ্ছেদ বন্ধ করার কোন ধরনের আইনি চেষ্টা। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক সহযোগিতার সর্বশেষ আশাও আর অবশিষ্ট নেই লালদিয়ার চরের ১৪০০০ হাজার মানুষের মনে।
সর্বশেষ গত শুক্রবার ২৬ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেও তাদের অসহায়ত্বের প্রতি মন গলাতে পারেনি আদালত কিম্বা সংশ্লিষ্ট কোন মহলের। ফলে আদালত কর্তৃক ‘অবৈধ দখলদার’ আখ্যায়িত করে উচ্চ আদালতের রায়ের বোঝা মাথায় নিয়েই ২৩ শত পরিবারের ১৪ হাজার  মানুষকে চলে যেতে হচ্ছে  বাপ দাদার ভিটে ছেড়ে এক অজানা গন্তব্যে।
এদিকে আগামীকাল ১ মার্চ থেকে পতেঙ্গা লালদিয়ার চরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে প্রায় এক হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়াও যোগাড় করা হচ্ছে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক।
উচ্চ আদালতের নির্দেশে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার বিকল্প নেই বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং পুনর্বাসনের দাবিতে আন্দোলনরত নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন এবং আদালতের রায়ের কারণে সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে ১ মার্চ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানায় তারা। বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে চরবাসির দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকের পর লালদিয়ার চর থেকে অনেকেই এখন অন্যত্র সরে যেতে শুরু করেছে।
এদিকে বন্ধর কর্তৃপক্ষের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই উচ্ছেদ অভিযানকে ঘিরে স্থানীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হচ্ছে। লালদিয়ার চরের ৫২ একর ভূমিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, পুলিশ এবং আনসার সদস্য চেয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। অভিযানে ১ হাজারেরও বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে বলে জানা যাচ্ছে।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বন্দর ভবনে বৈঠক হয়। বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহানের সভাপতিত্বে এতে বন্দরের সদস্য এবং শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুনবার্সনের দাবিতে আন্দোলনরত লালদিয়ার চরের মানুষের পক্ষে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছালেহ আহমেদ চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসলাম, লালদিয়ার চর পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর হাসানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
লালদিয়ার চর পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক আলমগীর হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, লালদিয়ার চরে ১৪ হাজারের মতো মানুষ রয়েছেন। এদের বাপ-দাদার ভিটে থেকে সরিয়ে লালদিয়ার চরে রাখা হয়েছিল। এখন পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ হলে এতগুলো মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে বিমান ঘাঁটি সমপ্রসারণের কাজের কারণে ঘাঁটি সংলগ্ন এলাকা ছেড়ে আসা কয়েকশ পরিবার স্থায়ী বন্দোবস্তি পাওয়ার আশ্বাসের ভিত্তিতে নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে লালদিয়ার চরে বসতি শুরু করে। এখন ওই এলাকায় ২৩০০ পরিবারের ১৪ হাজার মানুষের বসবাস। তিনি বলেন শুধু বাসিন্দারা নন, স্থানীয় সকল রাজনৈতিক, সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অনেক নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এই অসহায় চরবাসীর পক্ষে তাদের অবস্থান জানিয়েছেন।
এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের সদস্য বিদায়ী প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনও পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদের বিরোধিতা করেছেন।
উল্লেখ্য যে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বন্দর কর্তৃপক্ষ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সব ‘অবৈধ দখলদারকে’ অবিলম্বে ওই জায়গা ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় লালদিয়ার চরএলাকায়, ফলে তখন থেকেই পানি আর বিদ্যুৎ বিহীন মানবেতর জীবন-যাপন করছিল এই এলাকার ১৪ হাজার মানুষ।
এরইমধ্যে গত বুধবার চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পতেঙ্গা লালাদিয়াচরের বিষয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী লালদিয়াচরে পুনর্বাসন করার মতোও কেউ নেই উল্লেখ্য করে সাংবাদিকদের বলেছেন, লালদিয়ার চরে জমি ‘দখলে রেখে’ যারা আর্থিক ‘ফায়দা লুটেছে’ তাদের তালিকা করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের তিব্র নিন্দা জানিয়েছিল লালদিয়াচরের বাসিন্দারা, নিন্দায় তারা বলেন, ১৪ হাজার মানুষের ভোগান্তি কথা মন্ত্রী হয়ে কি ভাবে তিনি উপেক্ষা করেছেন এটা খুবই আশ্চর্যের বিষয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2023 Channel69tv.net.bd
Design & Development BY ServerNeed.com