শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
বিদায় নিচ্ছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান
দীর্ঘ দুই বছরের অধিক সময়ে তিনি এ শহরে ছিলেন। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে চট্টগ্রামের সাধারন শিক্ষার্থীরা রাজপথে আন্দোলনে নেমেছিল, তখন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রিপন আমাদের পাশে এসে দাড়িয়েছিল। আমরা সেদিন সাধারন শিক্ষার্থীদের অনেকগুলো দাবী দাওয়া মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। যার অনেকগুলো পূরন হয়েছে পুলিশ কমিশনারের আন্তরিকতায়। শিক্ষার্থীরা যখন- যেভাবে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন তখনি তিনি সাক্ষাত করেছেন। নিজের এখতিয়ারের বাইরেও গিয়েও সংকট নিরসনে তিনি এগিয়ে এসেছিলেন। স্কুল কলেজের সামনে সাইনবোর্ড টাঙানো থেকে শুরু করে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে নিরলস ভূমিকা রেখেছেন। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি সুন্দর রোডম্যাপে আনতে চালু করেছিলেন ‘স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং’। যার আওতায় প্রতি সপ্তাহে একদিন সাধারন শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে সেচ্ছাসেবী হিসাবে ট্রাফিক পুলিশকে সহায়তা করছে। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে সাধারন শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করেছেন তিনি। করোনাকালে চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা সকলের জানা। প্রতিটি থানা থেকে রাতের আঁধারে নিম্ন আয়ের মানুষের বাসায় পৌছে দিয়েছেন খাবার সামগ্রীর বড়সর প্যাকেট। আমরা যখন হালিশহরে করোনা আইসোলেশন সেন্টার করতে গেলাম তখনো এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পড়েছিলাম কিন্তু সিএমপি কমিশনারকে মোবাইলে একটা টেক্সট মেসেজ করার পর সব সমস্যার সমাধান পেয়েছি। সবকিছুর পরেও উনার দুই বছরের দায়িত্বকালের চূড়ান্ত মূল্যায়ন আমি অন্যভাবে করবো। দুই বছরের অধিক দায়িত্বপালনকালে তিনি রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতিত্বে ছিলেন না। কোন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বা রাজনৈতিক দূর্বিত্তায়নকে তিনি পশ্রয় দেননি। যখনি কোন রাজনৈতিক সহিংসতা হয়েছে তিনি দায়ীদের কঠোরহস্তে আইনের আওতায় এনেছেন। আরো অনেক কিছুই লেখার ছিল, তবে এখানেই ইতি টানলাম। পরিশেষে, বিদায়ী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমানের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।