বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন
“সিমেন্ট ক্রসিং-আলীশাহ মসজিদ পর্যন্ত ড্রেনে ভাসে ওয়াসার নল”
সবুজ জল বলে কথা:মূল সড়কে্ই যেন এখন ভাসান চর…!
হোসেন বাবলাঃ০১জুন(চট্টগ্রাম)
গতকয়েকদিন থেকে“সিমেন্ট ক্রসিং-আলীশাহ মসজিদ”বন্দরটিলা হয়ে ফ্রিপোট’এর দিকে ফ্লাইওভার ব্রীজের কাজ আবারো শুরু হয়েছে।আর এদিকে ঐপথ ধরে পাশে থাকা ড্রেন-নালায় যেন সুবজ,নীল আর কালো জলের স্রোত বইছে(ভিআইপি) মূল সড়কের উপর দিয়ে।
বাস্তব টা কেউ দেখতে চাইছেন না, সবাই উন্নয়ন চাই আর চাই বলে মুখে ফেনা তুলছে। কথা হচ্ছে-জল সহজ ওসোজা পথে চলে। কিন্তু এই জল যারা চালাই তারা কেন বাকাঁ পথে চলে তা বোধগম্য নহে।
সাবেক সিটি মেয়র মন্জু সাহেব বহু বছর পূর্বে বিশ্ব ক্রিকেট উপলক্ষে সিটি কে সৌন্দয্য করণ প্রকল্প আওতায় পতেঙ্গা থেকে মহেষখাল(আগ্রাবাদ পর্যন্ত)খাল-নালাও ড্রেন সংস্কার করেন। যার ফলে অলি-গলির পানি বা মূল সড়কের পানি সংযোগ ড্রেন দিয়ে খাল থেকে নদীতে পড়বে।
কিন্তু বিধিবাম ড্রেনের মাঝে সাপে বর সেজেছে(বাধঁ) আর সংযোগ তো হয়নি বরঞ্চ ড্রেন-নালার মধ্যে দিয়ে আস্ত ওয়াসার পানির অবৈধ নল-পাইপ টেনে এক শ্রেনীর প্রভাবশালী(ক্ষমতা ধর) লোক দেশ-সমাজের তেরটা বাজিয়ে এখন ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ন করতে চাচ্ছেন। যার বর্হি প্রকাশ এই ড্রেনের পানি সময় গড়িয়ে এখন সোজা মূল সড়কেই দৃশ্যমান।
এদিকে সিডিএ(ম্যাক্সের)মাধ্যমে ফ্লাইওভার ব্রীজের কাজ আবারো শুরু করাতে সড়কের পাশ সরু হয়ে ড্রেন নালার পাশ ঘেসে গাড়ি চলাতে দেখা দিয়েছে মারাত্মক বিপত্তী।ফুটপাত ধরে হাটা যাত্রী-পথচারী,জনসাধারণ সহ সর্বস্তরের লোকজন ঐ নোংরা কালছে-সবুজ শ্যাওলা যুক্ত পানির ছিটকানি খেয়ে চললে কি বিপদে পড়বে তা কি কেউ ভেবে দেখেছেন।এক দিকে বৈশ্বিক করোনায় আর আসন্ন ডেঙ্গজ্বর নিয়ে জনগনের দুচিন্তাই মাথায় ভাজ পড়ে আছে আর র্দূসময়ে যুক্ত ময়লা পানির ভাগড়!
ইপিজেডস্থ ঈশাখান মেইন গেইট সংলগ্ন স্থানে বিষয়টি এতোই দৃশ্যমান যে, সামন্য বৃষ্ঠির পানিতে হাটু থেকে কোমড় সমান পানি ভিআইপি রোড়ে ২/৩ঘন্টা আর ২/৩ চারদিন পর্যন্ত জমে মশার উৎপত্তি স্থলে রূপ নিচ্ছে।
বিষয়টি অত্যন্ত জনগুরুত্ব যেনে, চসিক ওয়ার্ড পরিচ্ছন্ন সুপার ভাইজার সহদেব সাহা কে বল্লে তিনি, সাময়িক ২/৩বার পরিস্কার করলেও নিচু এলাকা হওয়াতে সমস্যা থেকেই যাচ্ছে।আর সিডিএ(ম্যাক্সের)লোকজন কাজ করতে দেখে খুশি হলেও ঘটনা উল্টো, এরা খাল কেটে কুমির ডুকিয়েছে সড়কে অর্থাৎ সংযোগ করার ফলে খালের সমস্ত পানি মূল সড়কেই সয়লাব হচ্ছে প্রতিনিয়তই। স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, এই সময়ে ঘর-বাড়ী,নালা-নর্দমা আর সর্বত্র পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার, কারণ সারাদেশে ডেঙ্গুরোগের প্রাদুভাব দেখা দিয়েছে।
সামান্য ঝড়-বৃষ্ঠির পানি যদি সারানো না হয় তা হলে প্রবল বৃষ্টির পানি জমে এলাকায় দীর্ঘ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে নিঃসন্দেহ। উল্লেখিত জনগুরুত্ব পূর্ণ বিষয়টি জেলা প্রশাসক, সিডিএ চেয়ারম্যান,চসিক মেয়র, স্থানীয় কাউন্সিলর এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের যথাযত কর্তৃপক্ষ সু-বিবেচনা করে দ্রুত কার্য্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে সচেতন জনসাধারনের পক্ষে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
মতামতের জন্য লেখক কোন অংশে দায়ি নহে……০১/০৬/২০২০ইং