রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
পেকুয়ায় বাদির হাত কেটে নিল অপহরন মামলার আসামি
আমিরুল ইসলাম রাশেদ,পেকুয়া প্রতিনিধি।
জেল থেকে বের হয়ে বাদির হাত কেটে নিল অপহরন মামলার আসামী। শুক্রবার (২৮ আগষ্ট) সকাল ৮টার দিকে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মইয়াদিয়া ষ্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলী হোসেন মুন্সী (৫০) মইয়াদিয়া গ্রামের মৃত.নুর আহমদের ছেলে। তিনি সদর ৩নং ওয়ার্ড আ’লীগের সহ-সভাপতি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেকে) রেফার করে। কক্সবাজার কারাগার থেকে সম্প্রতি জামিনে বের হয়েছে অপহরন মামলার আসামি আলমগীর। ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। বাদিকে হত্যার ছক কষেন তিনি। হত্যা মিশনে কয়েকবার তিনি ব্যর্থও হয়েছেন। সুযোগের অপেক্ষায় ছিল তিনি। সকালে আ’লীগ নেতা আলী হোসেন মুন্সি বাড়ি থেকে বের হন। পেকুয়া বাজারের উদ্দ্যেশে মইয়াদিয়া ষ্টেশন থেকে মিশুক (মিনি টমটম) গাড়িতে উঠেন। আনছার নামের আরো একজন যাত্রীও ছিল গাড়িতে। পুর্ব থেকে ওতপেতে ছিল আলমগীর। এ সময় গাড়ি গতিরোধ করে আলমগীর ধারালো কিরিস দিয়ে সিনেমা ষ্টাইলে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে আলী হোসেন ধানি জমিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান। সেখানেও তাকে কুপিয়ে ডান হাতের কব্জি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেন।
পরে তিনি বীর দর্পে চলে যান। তাকে উদ্ধার করতে কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকেও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। জানা গেছে, আলী হোসেন মুন্সীর মেয়ে কলেজ ছাত্রী জান্নাতুল নাঈমা মুন্নী গত ১২জুলাই অপহরনের শিকার হন। মুন্সী বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় একটি অপহরন মামলা (০৫/২০) দায়ের করেন। আলমগীর ওই মামলার আসামি। গত দেড় মাস আগে আলমগীরকে জনতা আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করে। সম্প্রতি আলমগীর জেল থেকে জামিনে মুক্ত হন। আলমগীর মইয়াদিয়া এলাকার আশরাফ মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান,আলমগীর ও মুন্সী আপন চাচা-ভাতিজা। আলমগীরের শ্যালকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুন্নীর। তারা স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছে। আলী হোসেন মুন্সীর পরিবারের দাবী গত তিন মাস আগে মেয়ে অপহরন হলেও এখনো তাকে উদ্ধার করতে পারেন নি পুলিশ। অপহরনকারীর মুল হোতা এখনো অধরা রয়েছে। এদিকে আ’লীগ নেতাকে কুপিয়ে হাত বিচ্ছিন্ন করে ফেলার খবরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দুইটি পাম্প মেশন বসিয়ে পানি সরিয়ে ধানি জমির একটি পুকুর (মিনি পুকুর) থেকে কাটা হাত উদ্ধার করেছে। এসময় একটি ঘড়ি ও একটি স্বর্নের আংটিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আলমগীর একজন বখাটে ও ইয়াবাখোর। প্রতিনিয়ত সে মাদকাসক্ত থাকেন। এলাকায় চুরি চামারীর সাথে জড়িত। তার অত্যচারে অতিষ্ট এলাকাবাসি। ১০/১২জনের একটি ইয়াবাখোর সিন্ডিকেট রয়েছে তার। আলমগীর খুচরা ইয়াবা ব্যবসায়ীও। পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিছিন্ন হাত উদ্ধার করার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি জানান,এখনো সঠিক বলতে পারছিনা। সেখানে এখনো পুলিশ অবস্থান করছেন।