বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
নীলফামারীতে প্রতিবন্ধী নারীর অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক আটক
সত্যেন্দ্রনাথ রায়,নীলফামারী,প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডোমারে মাদ্রাসা শিক্ষক ও পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আব্দুর রশিদ (৫৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক কে আটক করেছে ডোমার থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৮শে জুলাই)রাত সারে সাতটার দিকে ডোমার উপজেলার পাঙ্গামটুকপুর ইউনিয়নের মেলাপাঙ্গা ভাটিয়া পাড়া নতুন বাজার নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে।
আটক কৃত শিক্ষক পাঙ্গাচৌপথী আব্দুল মজিদ আলিম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল এর
দ্বায়িত্বের পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি গ্রাম্য চিকিৎসকের পেশায় নিয়োজিত বলে জানা গেছে।
জানাযায় একই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড এর সুমন ইসলামের প্রতিবন্ধী স্ত্রী কাজলী বেগম(২৪)। বাড়ির সামনে নতুন বাজারের মৃত কফিল উদ্দিন এর ছেলে আব্দুর রশিদ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক।ঐ দিন সন্ধ্যা সারে সাতটার দিকে তার দোকানে প্রতিবন্ধী নারী কাজলী বেগমের শিশু সন্তানের জ্বর দেখা দেয়। তার কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে ঐ নারীকে অপদস্ত ও নির্যাতন করে এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ দায়ের করে। এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগকারী জানান সন্ধ্যায় আমি আমার ছোট শিশু বাচ্চার জ্বর হলে তার ঔষধ দোকানে নিয়ে যাই। যাওয়া মাত্র তার দোকানের পর্দা টেনে দিয় আমার সাথে অশোভন কথা বলা শুরু করে।পরে এক পর্যায়ে আমার শ্বরীরের বিভিন্ন জায়গায় স্পর্শ করে এমত্বাবস্থায় আমার স্বামী উপস্থিত হলে সেখানে হাতাহাতি শুরু হয়।
প্রতিবন্ধী কাজলীর স্বামী সুমন ইসলাম বলেন আমার ছোট শিশু বাচ্চার জ্বর নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলে আমার স্ত্রীর পিছে পিছে আমিও যাই।গিয়ে আব্দুর রশিদের অপকর্মের বিষয় টি আমার নজরে পড়ে, সাথেই চিৎকার শুরু করলে তাৎক্ষণিক দোকান থেকে উপস্থিত থাকা লোকজনের সামনেই পালিয়ে যান তিনি। পরে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম ভূট্টকে বিষয়টি অবগতকরি।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান এর সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মুঠোফোনে কথা হলে ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মাহামুদু উন নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে আসামি কে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।যার মামলা নং-২২/২০২৩ ইং।