সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণ কাট্টলি এলাকার চাঞ্চল্যকর আনোয়ার জাহিদ তানভীর হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি নেছার উদ্দীনকে ফেনী জেলার সদর থানাধীন আফতাব বিবিরহাট এলাকা থেকে আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
১। র্যাব-৭ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারী, খুনী, মাদক ব্যবসায়ীসহ সকল প্রকার অপরাধ ও সন্তাসের বিরুদ্ধে সদাতৎপর। সাম্প্রতিককালে র্যাব-৭ গরীবের ডাক্তার নামে পরিচিত ডা. শাহ আলম হত্যা মামলার রহস্য উম্মোচন ও আসামী আটক এবং রাউজানের চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা হত্যার আসামী গ্রেফতার সহ গত ০১ জানুয়ারি ২০১৯ হতে অদ্য ২০ মার্চ ২০২০ ইং তারিখ পর্যন্ত ৬৩৩ জন মাদক ব্যবসায়ী এবং ৯১ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে আটক করে।
২। গত ১৮ মার্চ ২০২০ রাত আনুমানিক ২২৩০ ঘটিকায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানাধীন দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিঘাতে মোঃ আনোয়ার জাহিদ তানভীর (৩৫) নিহত হয়। পরবর্তীতে নিহতের ভাই গত ১৯ মার্চ ২০২০ ইং তারিখ চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানায় ২১ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগরীর পুলিশ মোঃ জনি ও মোঃ সোহেল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করে। হত্যাকান্ডের পর থেকেই র্যাব-৭ এই ঘটনার ছায়া তদন্ত এবং পলাতক আসামীদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। গোয়েন্দ নজরদারির এক পর্যায়ে র্যাব-৭ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে মোঃ আনোয়ার জাহিদ তানভীর এর হত্যা মামলার ২ নং আসামী মোঃ নেছার উদ্দীন (৪০), ফেনী জেলার ফেনী সদর থানাধীন আফতাব বিবিরহাট এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ২০ মার্চ ২০২০ ইং তারিখ ০৬০০ ঘটিকার সময় র্যাব-৭ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মোঃ নেছার উদ্দীন (৪০), পিতা- মৃত ফয়জুর রহমান, গ্রাম- কাজীরদিঘী (গনি সওদাগরের বাড়ী) থানা- পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম মহানগরী’কে আটক করে। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী নেছার উদ্দীন স্বীকার করে যে, ঘটনার দিন আসামীর সাথে ভিকটিমের কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামী মোঃ নেছার উদ্দীন ভিকটিম মোঃ আনোয়ার জাহিদ তানভীর’কে পেটে দুই বার ছুরিকাঘাত করে এবং এসময় আসামীর সাথে আরো ৫০-৬০ জন লোক ছিল। এরপর আসামী ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি রাস্তার পাশে ফেলে যায়। পরবর্তীতে আসামী নেছার ফেনী জেলার সদর থানাধীন আফতাব বিবিরহাট এলাকায় অবস্থান করে। আসামী নেছার আরও জানায় যে, ঘটনার আনুমানিক ২ মাস পূর্বে লোহার পুল এলাকার জনৈক রুবেলের কাছ থেকে ৩৫০ টাকা দিয়ে ছোরাটি ক্রয় করে এবং সেটি সবসময় সাথে বহন করত। আসামী নেছার এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানায় আরো দুইটি মামলা রয়েছে।
৩। এ বিষয়ে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মশিউর রহমান জুয়েল, পিএসসি বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রীক সহিংসতা প্রতিরোধে র্যাব-৭ যথোপযুক্ত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করবে এবং দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে।
৪। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।
—স্বাক্ষরিত-
মোঃ মাহ্মুদুল হাসান মামুন
সহকারী পুলিশ সুপার
সহকারী পরিচালক (মিডিয়া)
পক্ষে অধিনায়ক