শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসার অগ্রগতির দাবিতে
চট্টগ্রামে নাগরিক ফোরামের ১৩ প্রস্তাবনা
নিউজ ডেক্সঃ
দিনদিন প্রতিদিন করোনা রোগীর আশঙ্খাহারে বৃদ্ধি পাওয়াতে এবং আইসিইউ ভেন্ডিলেটর এর সংকটের কারণে অসংখ্য মানুষ মৃত্যুবরণ করাসহ সবকিছু বিবেচনা করে করোনা ভাইরাস এর উন্নত চিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফিল্ড হসপিটাল প্রতিটি জেলায় করতে হবে। করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য যে কোনো আক্রমন সার্থকভাবে মোকাবিলা করার জন্য চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন এবং মহাসচিব মো.কামাল উদ্দিন এক প্রস্তাবনা সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে সরকারের নিকট এই ১৩ টি প্রস্তাবনা ২৮ শে মে ২০২০ইং তারিখে এক অনলাইনের মাধ্যমে পেশ করে বলেন, এক্ষেত্রে কোনো অবহেলা ও দীর্ঘসূত্রিতা জাতির জন্য চরম বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই জরুরী ভিত্তিতে দেশ তথা চট্টগ্রামবাসীর বৃহত্ত্বর স্বার্থে বিশেষ করে করোনা চিকিৎসার অগ্রগতী বৃদ্ধি ও পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা সেবা পাওয়ার নিমিত্তে ১৩ দফা প্রস্তবনা পেশ করা হলো। উপস্থাপিত প্রস্তাবনা সমূহ যথাক্রমে –
১. অগনিত টেস্টের ব্যবস্থা করতে হবে । সব জেলাতে টেষ্টের ব্যবস্থা করতে হবে ।
২. এর সাথে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফিল্ড হসপিটাল প্রতিটি জেলায় জরুরী ভিত্তিতে স্থাপন করতে হবে।
৩. জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার বিশেষ ব্যবস্থা করে নিতে হবে।
৪. ডাক্তার নার্সদের জন্য জরুরী ট্রেনিংয়ের ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পোশাক নিশ্চিত করতে হরে।
৫. যে সব আন্তর্জাতিক সাহায্য আসছে এ সবকিছুর যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
৬. ইতালি. আমেরিকা, যুক্তরাজ্যের মতো সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করা যাবে না।
৭. যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের প্রতি সম্মান জনক আচরন ও চিকিৎসার সুযোগ করে নিতে হবে। অবহেলার কারণে কোন মৃত্যু যেন আর না হয় তা সুনিশ্চিত করতে হরে । ভিআইপি থেকে শুরু করে বস্তিবাসী যে কেউ এতে আক্রান্ত হতে পারেন বিনা নোটিশে ।
৮. করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত ব্যক্তির যথাযথ জানাজা-দাফন/ সৎকারের নিশচয়তা দিতে হবে ।
৯. আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার গাইডেন্স অনুযায়ী বর্তমানে যেসব ওষুধ নিয়ে বিভিন্ন দেশে বৃহৎ সফলতা অর্জিত হয়েছে এবং ট্রায়াল হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি আছে, সেগুলি সতর্কতার সাথে রোগী বিশেষের ক্ষেত্রে পার্শ প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে সুব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে । এ ঔষুধগুলি নিয়ে কেউ যেন ব্যবসা না করেন তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
১০. পরিস্থিতি সপূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত লক ডাউন যথাযথভাবে চালু রাখতে হবে, তবে অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন, জরুরি সার্ভিস, ওষুধ এবং খাদ্য সামগ্রীর জন্য যাতায়াতের সুযোগ শর্তাধীন রাখতে হবে ।
১১. প্রবাসীদের প্রতি কোনো হয়রানি যেন না হয় তার নিশ্চয়তা দিতে হবে ।
১২. গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে ।
১৩. দেশপ্রেমিক সকল দল ও নেতৃস্থানীয়. ব্যক্তিদের নিয়ে জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা ভাইরাস সচেতনতায সমম্বয় কমিটি করুন। এ ব্যাপারে সরকারকে ও সরকারি দলকে উদ্যোগ নিতে হবে ।