বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২১ অপরাহ্ন

Notice :
সারা বাংলাদেশ ব্যাপী বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে..........চট্টগ্রাম অফিস: সৈয়দ নূর বিল্ডিং , এম এ আজিজ রোড, সিমেন্ট ক্রসিং, দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম।মোবাইল নাম্বারঃ ০১৯১১৫৩৩৩০৮, ০১৭১১৪৬৭৫৩৭, E-mail: gsmripon@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
চট্টগ্রাম মহানগর ইলেকট্রিক থ্রি হুইলার যানবাহন মালিক ফেডারেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সিএমপির বন্দর থানার অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ধারালো অস্ত্রসহ দুইজন গ্রেফতার মন্দিরের দানবাক্স ভেঙে চুরি, টাকা সহ ২ চোর আটক জেএমসেন হলে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও গোলমাল সৃষ্টির ঘটনায় দুইজন গ্রেফতার পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে সিএমপি কমিশনার। এই কিরে তোর ভালোবাসার প্রতিদান,,?? চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস হাসপাতালে অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে আন্দোলন চাঞ্চল্যকর মৎস্য ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন হত্যা মামলার পলাতক আসামি মোরশেদুর রহমান খোকা’গ্রেফতার র‍্যাব-৭ জুয়াড়ি তাহেরের রিক্সার গ্যারেজ থেকে ১৭ জুয়াড়ি আটক নৃত্যের তালে তালে গান গেয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত পলাতক আসামি মেহেদী হাসান সাগর

“হালদা” নদীর সফল ডিম সংগ্রহ।

 

হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় প্রশাসন ও হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সমন্বিত কার্যক্রমের সুফল মিলছে ২০২০ সালে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশনায় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই হাটহাজারীর ইউএনও জনাব রুহুল আমিনের তত্ত্বাবধানে হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নানাবিধ উদ্ভাবনী উদ্যোগ গৃহীত হয়। বিভিন্ন কারিগরি বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রধান অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া সময়ে সময়ে মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন, যা জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে বাস্তবায়নের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে।

হালদা থেকে এবার ২৫ হাজার ৫৩৬ কেজি মাছের ডিম সংগ্রহ হয়েছে, যা গতবছরের চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি। ২৮০ টি নৌকায় ৬১৫ জন মিলে এই ডিম সংগ্রহ করেছেন। গত ১২ বছরে সবচেয়ে বেশি ডিম এবার পাওয়া গেছে। মাঠ প্রশাসন, গবেষক এবং স্থানীয় সচেতন নাগরিক মহলের সমন্বিত কার্যক্রমেই হালদা নদী থেকে ডিম আহরণে এবছরের রেকর্ড অর্জিত হয়েছে।

প্রায় ৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বাংলাদেশের অন্যতম কার্প জাতীয় মাছের (রুই, কাতল, মৃগেল, কালিবাউশ) প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র এই হালদা নদী। খাগড়াছড়ি পার্বত্যজেলার মানিকছড়ি উপজেলার বাটনাতলী ইউনিয়নের একটি পাহাড়ী গ্রামের নাম সালদা। এই গ্রামের ঝর্ণা থেকে নেমে আসা ছড়া সালদা থেকেই হালদা নামকরণ করা হয়। হালদা ছড়া মানিকছড়ি উপজেলার মানিকছড়ি খালের সাথে মিলিত হয়ে প্রথমে হালদা খাল এবং পরবর্তীতে ফটিকছড়ির ধুরং খালের সাথে মিলিত হয়ে হালদা নদীতে পরিণত হয়েছে। এই নদী চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি, রাউজান এবং হাটহাজারী উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট নামক স্থানে কর্ণফুলী নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এটিই বিশ্বের একমাত্র জোয়ার ভাটার নদী। হালদার দুই পাড়ের মানুষ প্রাকৃতিক এই প্রজনন ক্ষেত্র থেকে প্রতি বছর উৎসব মুখর পরিবেশে নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করে। ডিম আহরণের এই রেওয়াজ যুগ যুগ ধরে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। হালদা নদী এবং নদীর পানির কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্যের জন্য এখানে মাছ ডিম ছাড়তে আসে যা বাংলাদেশের অন্যান্য নদী থেকে ভিন্নতর।

২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল তারিখে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেল সড়কে ফার্নেস তেলবাহী একটি ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে স্থানীয় মরাছড়া খালের রেল সেতু ভেঙ্গে ০১টি ওয়াগন সম্পূর্ণভাবে ছড়ায় পতিত হয়। পতিত ওয়াগনে ছিল ২৫ হাজার লিটার ফার্নেস তেল যার সিংহভাগই ছড়ায় পড়ে। ফার্নেস তেল মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, যার শেষ গন্তব্য ছিল প্রাকৃতিক জিন ব্যাংক খ্যাত হালদা নদী। এসময় হালদা নদীর দূষণ রোধ এবং মাছ ও জীব বৈচিত্র‍্য রক্ষায় তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ফার্নেস তেলের ছড়িয়ে পড়া রোধে জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের তাৎক্ষণিক পরামর্শে হাটহাজারীর ইউএনও জনাব মোহাম্মাদ রুহুল আমীন স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন থেকে উদ্যোগ নিয়ে আড়াই কিলোমিটার খালের মধ্যে ১২টি বাঁধ নির্মাণ করে টানা পাঁচ দিন কাজ করে প্রায় ২০ হাজার লিটার তেল অপসারণ করেন। ফলে হালদা নদী ভয়াবহ দূষণ থেকে রক্ষা পায়। উল্লেখ্য, হালদা নদী থেকেই চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরে বসবাসকারী ৬০ লক্ষ লোককে পানি সরবরাহ করে। হালদা নদীর পানিতে ফার্নেস তেল দূষণ ছড়িয়ে পড়লে তা থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে বসবাসরত জনগণের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে গভীর সংকট তৈরি হতো এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতো। এছাড়া সময়টাও ছিল হালদায় ডিম ছাড়ার পূর্ব মূহুর্ত। উপজেলা প্রশাসনের প্রাণান্তকর চেষ্টায় হালদা নদী পর্যন্ত গড়াতে পারেনি তেল।

হালদা নদীর সাথে সংযুক্ত হাটহাজারী পৌর এলাকার প্রধান খাল ‘কামাল পাড়া খালের’ মুখে হাটহাজারীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব রুহুল আমিনের উদ্যোগে লোহার গ্রীল বসানো হয় এবং তাতে আটকে যাওয়া ময়লা আবর্জনা প্রতি সপ্তাহেই পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়। ফলে হাটহাজারী পৌর এলাকার বিভিন্ন নালা-নর্দমা থেকে আসা ময়লা-আবর্জনা আর পড়ছে না হালদা নদীতে। প্রতি সপ্তাহে গ্রীল পরিষ্কার করে ময়লা-আবর্জনা তুলে ফেলা হচ্ছে যার মাধ্যমে হালদা নদী মুখী ২ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে প্রশাসনের এ ধরণের মনিটরিং এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ নজিরবিহীন। হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে চট্টগ্রামের বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশনায় হাটহাজারীর ইউএনও জনাব রুহুল আমিনের তত্ত্বাবধানে এ সমন্বিত কার্যক্রমে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণ, পরিবেশবিদ এবং নদী গবেষকগণ সন্তোষ ও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

পৃথিবীর একমাত্র মিঠা পানির মাছ প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীর দখল ও দূষণ প্রতিরোধ; নদীকেন্দ্রিক জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ এবং মৎস্যসম্পদ আহরণ বৃদ্ধি কার্যক্রম বাস্তবায়নে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল এবং বিষ প্রয়োগ করে মা মাছ শিকারের প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে প্রায় নব্বই শতাংশ।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে এবার ২০২০ সালে কার্প জাতের মা মাছ রেকর্ড পরিমাণ ডিম ছেড়েছে। দূষণ-বালু উত্তোলন, চোরাশিকার প্রায় বন্ধ হওয়ায় এবার গত একযুগে সর্বোচ্চ ডিম সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

হালদা গবেষক অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়ার মতে, কারখানা বন্ধ করে দূষণ ঠেকানো, বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা, মানিকছড়ি পাহাড়ে তামাকচাষ বন্ধ করা, বছরব্যাপী চোরাশিকারি ও বালু উত্তোলনকারীদের তৎপরতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া এবং কোভিড-১৯ এর কারণে লকডাউনের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক থাকায় এই সুফল এসেছে।

জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম এর সার্বিক নির্দেশনায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের স্থানীয় উদ্যোগের মাধ্যমে প্রেরিত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক এশিয়ান পেপার মিল ও ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত একবছরে ১০৯ বার হালদা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে।গত একবছরে হালদার অভিযানে ২ লাখ ২১ হাজার মিটার ঘেরাজাল জব্দ করা হয়েছে, যেগুলো দিয়ে মা মাছ শিকার করা হচ্ছিল। বালু উত্তোলনকারী ৯টি ড্রেজার ও ১৫টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ধ্বংস করা হয়েছে। সাড়ে তিন কিলোমিটারেরও বেশি বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত পাইপ ধ্বংস করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ঘনফুট বালু।

চট্টগ্রাম জেলার বর্তমান জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশনায় ২০১৯ সালের শুরু থেকেই মৌসুমে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় এবছর হ্যাচারিগুলোতে ডিম পরিস্ফুটনের কাজ অত্যন্ত সুন্দর ও শৃঙ্খলার সাথে সম্পন্ন হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলার ডিম পরিস্ফুটনের জন্য নির্মিত তিনটি হ্যাচারির প্রায় ৭০ ভাগ কুয়া (আয়তকার চৌবাচ্চা যা ডিম হতে রেনু উৎপাদানের কাজে ব্যবহৃত হয়) গত ৫ বছর ধরে পরিত্যক্ত ছিল। ডিম ছাড়ার প্রায় দুই মাস পূর্বে শতভাগ কুয়া ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে কাজের তত্ত্বাবধান করা হয়। নিয়োগ দেয়া হয় কেয়ারটেকার, সার্বক্ষনিক গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করে ডিম সংগ্রহকারীদের দেয়া হয় আস্থার পরিবেশ। ১৪১ টি মাটির তৈরি কুয়া এবং সরকারি ৫ হ্যাচারির ১৩১ টি কুয়ায় ডিম পরিস্ফুটন করা হয়। ২০১৮ সালের বিবেচনায় ২০১৯ সালে রেণু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১১৭ কেজি। কিন্তু যথাযথ হ্যাচারি ব্যবস্থাপনা ও সংস্কারের কারণে ২০১৯ সালে প্রায় ২০০ কেজি রেণু উৎপাদিত হয়, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ৮০ কেজি বেশি। প্রতি কেজি রেণুর বাজার মূল্য ৮০ হাজার টাকা হারে এ বছর হাটহাজারীর স্থানীয় ডিম আহরণকারীরা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৬৪ লাখ টাকা বেশি মুনাফা করেছেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগের ফলে এ বছর কোনো ডিম নষ্ট হয়নি। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে ডিম ফুটানোর সরকারি কুয়ার সংখ্যা রেড়েছে তিনগুন। কুয়া কম থাকায় গতবছর নির্ধারিত পরিমানের তিনগুণ ডিম একটা কুয়াতে তারা ফুটানোর চেষ্টা করেছেন, ফলশ্রুতিতে প্রচুর ডিম নষ্ট হয় যা দেশের মৎস্য সম্পদের জন্য ছিল অপূরণীয় ক্ষতি। ২০১৯ সাল থেকে কুয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতি কুয়ায় ডিমের পরিমান নির্দিষ্ট করে দেয় উপজেলা প্রশাসন ফলে ডিম নষ্ট হবার ঝুঁকি বা সম্ভাবনা ছিল না। ২০২০ সালে বিগত ১২ বছরে রেকর্ড পরিমাণ ডিম আহরণ হওয়ায় এবার রেণু উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আশা করা যায় একটি মাইলফলক সৃষ্টি হবে।

হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা ডিম পাড়ে সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রস্তুত বিভিন্ন কুয়ায় রাখা হচ্ছে। সেখান থেকে প্রথমে রেণু ফোটানো হবে এবং পরে রেণু থেকে পোনা হবে।

২০১৯ সালে প্রায় সাত হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে স্থানীয়রা ডিম সংগ্রহ করেছিলেন ২২ হাজার ৬৮০ কেজি। এর আগে ২০১৭ সালে মাত্র ১ হাজার ৬৮০ কেজি, ২০১৬ সালে ৭৩৫ কেজি, ২০১৫ সালে ২ হাজার ৮০০ কেজি এবং ২০১৪ সালে ১৬ হাজার ৫০০ কেজি ডিম সংগ্রহ করা হয়।

হালদা নদী থেকে শুধুমাত্র রুই বা কার্প জাতীয় (রুই, কাতলা, মৃগেল এবং কালিবাউশ) মাছের ডিম সংগ্রহ, রেণু উৎপাদন, পোনা বিক্রি ও মাছ বিক্রি করে বছরে আয় হয় প্রায় প্রায় ৮২১ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের ৬ শতাংশ। নদী হিসেবে এককভাবে আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্যক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে হালদা নদী। আর এই নদীর বালি উত্তোলন, চট্টগ্রাম ওয়াসার খাবার পানি সংগ্রহ, নদীর উভয় পাড়ের মানুষের কৃষিকার্য, জীবন-জীবিকা প্রভৃতি মিলিয়ে বছরে প্রায় ১০ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা আয় হয় এই নদীকে ঘিরে। এছাড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এবং পরিবেশগত মূল্যে হয়তো আরও বাড়তে পারে। জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম হালদা নদীর সুষ্ঠু ও পরিকল্পিত সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার নিমিত্ত সহায়ক সরকারি-বেসরকারি সংস্থাসমূহকে সম্পৃক্ত করে জাতীয় অর্থনীতিতে হালদা নদীর অবদানের পরিমাণ অনেক গুণ বৃদ্ধির পথকে নিয়ত মসৃণ করছে। (তথ্য সংগ্রহ)

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2023 Channel69tv.net.bd
Design & Development BY ServerNeed.com