রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন
ভালোবেসে বিয়ে করার চারমাসের মধ্যে নববধূর রহস্য জনক মৃত্যু
সত্যেন্দ্রনাথ রায়,নীলফামারী,প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডোমারে পল্লবী রানী (২৩) নামে
এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে ডোমার থানা পুলিশ।
বুধবার (৬ ই জুলাই)দুপুরের দিকে উপজেলা বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নিমোজখানা
বাবুপাড়া এলাকায় পোরা মানিকের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে ও পুলিশ সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেছে।
এ দিকে ঘটনার সময় থেকে মৃতের স্বামী লাপাত্তা। অপর দিকে মেয়ে বাড়ির লোকজনের দাবি পল্লবীকে মেরে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে রেখেছে ছেলে পক্ষের লোকজন। মৃত পল্লবী রানী,ঐ এলাকার টোল কালীগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বিশ্বদেব রায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী,ও গৌরাঙ্গ রায়ের মেয়ে।
মেয়ের বাবা গৌরাঙ্গ রায় জানান ৪ মাস পূর্বে
আমার মেয়ের সাথে গৈরাংঙ্গের বিয়ে হয়,তার
পূর্বে তার কাছে মে আমার প্রাইভেট পারছিল।
সেই থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়েওঠে।বিষয়টি জানার পর আমার মেয়ের অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দিই। বিশ্বদেবও অন্যত্র বিয়ে করে।
আমার মেয়ের ঐ সংসারে অন্যনা নামে একটি মে সন্তান ও আছে। বিশ্বদেব আমার মেয়ের সংসারে গিয়ে ডিভোর্স ঘটায় সেই থেকে সন্তানটি নিয়ে মে আমার বাড়িতে থাকে।পরে পালিয়ে গিয়ে ৪ মাস আগে মেয়েকে আমার বিয়ে করে বিশ্বদেব। বিয়ে থেকে মেয়ে আমার স্বামীর বাড়িতে থাকে। বিশ্বদেব আগের বউও
ঐ বাড়িতে থাকে।
পল্লবীর স্বতীন জুই জানান সকাল বাসন মাঝতে গিয়ে পল্লবী বলে স্বরীরটা ভালোনা কিভাবে ভাত রান্না করব। তখন আমি বলি তুই আরাম কর আমি সকালের রান্না করছি। পরে
তার ঘরে চলযায়। ভাত রান্না হওয়ার পর স্বামী
বিশ্বদেব তাকে ডাকতে গেলে গিয়ে দ্যাখে ঘরের আড়ার সাথে গঁলায় ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে পল্লবী। এই ঘটনা দেখে আমার স্বামী চিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোকজন ছুটে দ্যাখে সে ঘরের মধ্যে আত্মহত্যা করেছে। এদিকে কি কারণে মারা যেতে পারেন পল্লবী কেউ কোন কিছু বলছেনা।
ডোমার সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার আলী মোহাম্মদ আব্দুলাহ্ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।
ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী ঘটনার সত্যতা ও মরদেহ উদ্ধার নিশ্চিত করে বলেন ময়নাতদন্তের পরেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।