- শুক্রবার ১৭ এপ্রিল, ২০২০ / ৫৬ জন দেখেছে
সিএমপি কর্তৃক খোলা মাঠে কাঁচা বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ শুরু থেকেই নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সর্বশেষ জনবান্ধব এবং স্বাস্থ্যকর একটি উদ্যোগ হচ্ছে খোলা মাঠে চট্টগ্রামের কাঁচাবাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ চট্টগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাঁচাবাজার- চকবাজার কাঁচাবাজার স্থানান্তর করা হলো চকবাজারের প্যারেড মাঠে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মাহাবুবর রহমান বিপিএম, পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব এসএম মেহেদী হাসান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) এর তদারকিতে এই কাঁচা বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে একটি মডেল কাঁচাবাজার স্থাপনের প্রক্রিয়া হিসেবে গত কয়েকদিন যাবৎ চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ চকবাজার কাঁচা বাজার সমিতির নেতাদের সাথে এবং ইজারাদারদের সাথে আলোচনা করেন। আলোচনার সিদ্ধান্ত মতে গত দুই দিন যাবত কাঁচা বাজার স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সকল দোকান মালিক এবং কাঁচা বাজার ব্যবসায়ীগনের সহায়তায় চকবাজারের প্যারেড মাঠে প্রায় ৩৫০টি অস্থায়ী কাঁচা ঘর নির্মাণ করা হয়। আজ সকাল আটটা থেকে স্থানান্তরিত এই কাঁচা বাজারে বেচাকেনা শুরু হয়।
এ কাঁচা বাজারের একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি একটি একমুখী চলাচলের বাজার। মাঠে দুইটি গেইট আছে। একটি গেট দিয়ে ব্যবসায় ও ক্রেতাগন প্রবেশ করবেন এবং কেনাকাটা শেষে অন্য একটি গেট দিয়ে বের হয়ে যাবেন। এই প্রক্রিয়ায় একজন আরেকজনের মুখোমুখি হবে না এবং ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকবে।
স্থানান্তরিত এই বাজারে চকবাজার এলাকা সহ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য মানুষ স্বাস্থ্যকর পরিবেশে শাকসবজি, মাছ, মাংস সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করতে পারবেন। বাজারটি সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং সামাজিক দূরত্ব রক্ষার উদ্দেশ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের সম্ভাবনা যতদিন থাকবে ততদিন এই বাজারের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মহানগরীর অন্যান্য এলাকাতে পর্যায়ক্রমে উম্মুক্ত মাঠে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উদ্দেশ্যে এরকম কাঁচাবাজার স্থাপনের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।করোনা ভাইরাসের বিস্তার ও প্রতিরোধের লক্ষ্যে সিএমপি কর্তৃক স্থাপিত ও স্থানান্তরিত এসব কাঁচাবাজার নগরবাসীকে অনেকটাই স্বস্তি দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।