শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
ডোমারে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে বাড়ি ডাকাতি
সত্যেন্দ্রনাথ রায়, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডোমারে দেশীয় অস্ত্রের মুখে গৃহকর্তাকে জিম্মি করে বাড়ী ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ১২/১৩ জনের একটি ডাকাত দল সেসময় নগদ অনুমান ৩ লক্ষা টাকা ও ৩ ভরি ওজনের স্বর্নলঙ্কার ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
সোমবার (১ মে) রাত অনুমান আড়াইটা হতে সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ড ছোট রাউতা বক্করের মোড় এলাকায় বিজয় কুমার চক্রবর্তীর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। বিজয় চক্রবর্তী উল্লেখিত এলাকার মৃত গোপাল চক্রবর্তীর ছেলে।
বিজয় চক্রবতী জানান, রবিবার খাওয়া দাওয়া শেষে নিজ শয়ন ঘরে ঘুমাই। রাত অনুমান আড়াইটার দিকে অপরিচিত কয়েকজন আমার রুমের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদের মধ্যে একজন আমার গলায় ছুরি, দুইজন দুইহাত ও একজন পেটে ছাবল লাগিয়ে বলে চুপচাপ থেকে টাকা পয়সা কোথায় আছে বলো? আমি প্রাণ ভয়ে সো-কেস দেখিয়ে দেই। তারা রুমের শ্টিলের আলমিরা, সো-কেস ভেঙ্গে ডয়ারে গচ্ছিত মেয়ের বিয়ের জন্য জমানো তিনলক্ষ টাকা নিয়ে নেয়।এবং কাসার থালা বাসন, পাচঁটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। সে সময় পার্শ্বের রুম থেকে টের পেয়ে আমার স্ত্রী আসলে তাকেও জিম্মি করে ডাকাতরা। পরে তারা বাড়ীর অন্যান্য রুমে যায় ও আমার বাড়ীতে আসা বিবাহিত মেয়ের পরিধানকৃত স্বর্নলঙ্কার, ছোট মেয়ে এসএসসি পরিক্ষার্থী তার স্বর্নলঙ্কার ও আমার স্ত্রীর স্বর্নলঙ্কার জোড় করে ছিনিয়ে নেয়। তারা আমাকে ও আমার ছোট মেয়েকে মারধোর করেছে এবং ছেলেকে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে যাওয়ার সময় রুমের মধ্যে আটকিয়ে বাহিরের দিকে ছিটকিনি লাগিয়ে দেয়। ডাকাতরা মুখে কালি মাখায়, চিনতে না পারলেও তিনজনের গলায় মালা দেখেছি। আমি বর্তমানে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বিজয় চক্রবতী’র এবারের এসএসসি পরিক্ষার্থী মেয়ে সুরভী চক্রবর্তী জানান, আমি তখন পর্যন্ত বই পড়তেছি। কয়েকজন লোক আমার রুমে ঢুকে আমার গলার চেনটি টেনে ছিড়ে নেয়। এবং চুপচাপ থেকে বাবার রুমে যেতে বলে।
বিজয় চক্রবতীর বাড়ী সংলগ্ন বক্করের মোড় বাজারের পাহারাদার রঙ্গিলা চন্দ্র দাশ জানান, ১০/১২ জন লোক রাত তিনটার দিকে যাইতে দেখলে, এই কে বলে জানতে চাইলে একজন আমাকে ছুরি দিয়ে কোপ মারতে হাত উপড়ে উঠালে আরেকজন এগিয়ে এসে থামিয়ে দেয়। এবং দ্রুত হরিণচড়া ইউনিয়নের দিকে চলে যায়। পরে আমি পুলিশকে ফোন করে খবর দেই।
এব্যাপারে ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ উন নবী জানান, বর্তমানে ঘটনাস্থলে আছি, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।