শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:২৭ অপরাহ্ন
মধ্যরাতে কয়েলের আগুন কেরে নিল সর্বস্ব
সত্যেন্দ্রনাথ রায় ঃ- নীলফামারী,প্রতিনিধি
পরিবারের তিল তিল করে গড়া সঞ্চয় আর গৃহস্থালি পন্য ভয়াবহ আগুন এক রাতেই শেষ। কিছুই রক্ষা করতে পারেনি।আগুনে পুরে ঘরের শেষ চিহ্নটুকু নেই। যেখানটায় ঘর ছিল সেখান কার এক কোনায় পরে আছে আধপোড়া কিছু ধান আর চাল। তার পাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে ঝলসানো কোকরানো ঘরের কিছু টিন। পাকা রুমের ওয়াল যা হাত বুলাতেই খসে খসে পরছে মাটিতে। পুড়েযাওয়া আসবাব পত্র গুলো ব্যবহার করার মত অবস্থায় নেই একখানাও । দু চোখের জল পরতে পরতে কথা গুলো বলছিলেন নারায়নের
স্ত্রী আরতি রানী।
ঘটনা মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সারে বারোটার দিকে নীলফামারী পলাশবাড়ী ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডে বাবুপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার দুটি হলো মৃত কৈলাশ চন্দ্র রায়ের ছেলে রহিত ও নারায়ন চন্দ্র রায়ের। তবে আরো জানাযায় ঘটনার দিন নারায়ন নিজে তার ছেলে ও বৌমা ছিলেন না বাড়িতে । সবচেয়ে বেশী ক্ষতি গ্রস্ত
হয়েছেন নরায়ন চন্দ্র।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায় গরুর ঘরে দেয়া
কয়েলের আগুন থেকেই এই ঘটনার সুত্রপাত ঘটে বলে ধারনা করছে এলাবাসী ।খয়ক্ষতির
পরিমাণ আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকার উপরে বলে জানাযায়। তার মধ্যে একটি এ্যাপাচি মোটর সাইকেল ও একটি স্কুটি মোটর সাইকেল, নয়টি ঘর, পঁয়তাল্লিশ মন ধান, দশমন চাল,টিভি, ফ্রীজ,জমির কাগজ, তিনট আধাপোড়া গরুসহ ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র পুরে ছাই হয়ে যায়। পরিবার দুটি এখন কোথায় থাকবে, কি খাবে, পাচ্ছেন না কোন দিশা।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম তালুকদার বাড়িপুড়ে যাওয়া ঘটনার বিষয় নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে কথা হলে নীলফামারী ফায়ার সার্ভিস
এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর সিনিয়র অফিসার মিয়ারাজ উদ্দিন বলেন আমরা খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনা স্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসিএবং প্রায় দশলাখ টাকার মালামাল রক্ষা করি।