বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন
করোনার অজুহাতে অভয়নগরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন দাম
দিশেহারা সাধারণ মানুষ, জরুরী মনিটরিং প্রয়োজন
মো.রিপানুর ইসলাম, অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি-
করোনার অজুহাতে যশোরের অভয়নগরে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি অসাধু সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বাজারে মালামাল কৃতিম সংকট সৃষ্টি করে চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, রসুন, আটা, ময়দা, হ্যান্ড ওয়াশ, টিস্যু পেপার সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য অস্বাভাকিভাবে দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। করোনা আতঙ্কে সাধারণ মানুষ অতিরিক্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যে কেনার কারনে এর মধ্যে বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে, ফলে অভয়নগরের নওয়াপাড়া, রাজঘাট, ভাঙ্গাগেট, চেঙ্গুটিয়া, প্রেমবাগ সহ আশে পাশের বাজারগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আতঙ্কগ্রস্থ মানুষ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তীব্র সঙ্কটের আশঙ্কায় জিনিসপত্র কিনছে হুমড়ি খেয়ে। আর এ সুযোগে একটি অসাধু ব্যবসায়ী মহল বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মালের দাম বৃদ্ধি করছে। প্রতিদিন বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। ২০মার্চ শুক্রবার সকালে নওয়াপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চালের দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে গত ৩-৪ দিনে চিকন চাউলে কেজি প্রতি ৫-৬ টাকা এবং মোটা চালে ৭-৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে প্রতি কেজি খোলা আটা ২৮ টাকা এবং প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। ১ দিনের ব্যবধানে ৩৫ টাকার পেয়াজ ৬০টকায় বিক্রয় হচ্ছে, রসুন,আদা, আলু, মরিচ সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধি, লবন প্রতি কেজি ২৮ থেকে ৩৫ টাকা, ৬০ টাকার চিনি ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজার করতে আসা চেঙ্গুটিয়ার মহশিন, দেয়াপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম বাজারের এমন চিত্র এই প্রতিবেদকের নিকট বলেন। মহশিন বলেন, আমরা গরিব মানুষ দিন আনি দিন খাই কিন্তু নিত্য পণ্যে দাম এমন হারে বাড়তে থাকলে আমরা পরিবার নাখেয়ে দিন কাটাতে হবে। প্রশাসন যদি এখন ব্যবস্থা না গ্রহন করেন তা হলে আবার লবণ কাহিতে আমাদের দেখতে হবে। এই ব্যাপারে বাজার কমিটির সভাপতি গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, আজ (২০মার্চ) রাতে সাধারণ সম্পাদকের সাথে বসবো তিনি যদি সময়দেন আগামী কাল আমরা বাজার মনিটরিংএ নামবো। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো.নাজমুল হুসেইন খান বলেন, আমি বিষয়টা শুনেছি এবং সাথে সাথে বাজার কমিটির সভাপতিকে জানিয়েছি তিনি আজ(২০মার্চ) শুক্রবার সময় নিয়েছেন তিনি ব্যার্থ হলে আমি পরর্বতি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।