শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৯ অপরাহ্ন

Notice :
সারা বাংলাদেশ ব্যাপী বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে..........চট্টগ্রাম অফিস: সৈয়দ নূর বিল্ডিং , এম এ আজিজ রোড, সিমেন্ট ক্রসিং, দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম।মোবাইল নাম্বারঃ ০১৯১১৫৩৩৩০৮, ০১৭১১৪৬৭৫৩৭, E-mail: gsmripon@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন নিহত তিন জনের জানাজা অনুষ্ঠিত সদরঘাট থানার অভিযানে দুই দস্যু গ্রেফতার সাংবাদিক রাশেদুল ইসলামকে হেনস্তাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন সিএমপির চান্দগাঁও থানার অভিযানে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ টাকাসহ ২৩ জন জুয়াড়ি গ্রেফতার। গান গেয়ে গেয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার মূলহোতাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ। হালিশহরে আন্তঃ একাডেমি কাপ ফাইনালের প্রস্তুতি ফুটবল ম্যাচে অনুর্ধ্ব -১৪ দলের জয় নওয়াপাড়ায় জলাবদ্ধতার সমাধান না হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। চাঞ্চল্যকর ৬ বছরের কণ্যা শিশু ধর্ষণআসামি শফিকুল ইসলাম’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব -৭ মামলার সিএমপি কমিশনারের প্রথম ‘ওপেন হাউজ ডে’-তে সেবা নিলেন ৮৪ জন সেবাপ্রত্যাশী। কম্বাইন্ড হিউম্যান রাইটস ওয়ার্ল্ড এর উদ্যোগে পাঞ ঞা জ্যোতি ভিক্ষু সংবর্ধিত

পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

 

পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,,,,

মোঃ শাহরিয়ার রিপন ঃ- চট্টগ্রাম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১০ই ডিসেম্বর বিএনপির খুব প্রিয় তারিখ, এজন্যই তারা ওইদিন ঢাকায় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১০ ডিসেম্বর নাকি তারা ঢাকা অচল করে দেবে। ১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে এ দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল। এ কারণেই এই তারিখ বিএনপির এত প্রিয়। তিনি বলেন, চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল বলেই ভোটে ভয় পায় বিএনপি। ভোট পাবে না বলে বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে সরকার উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করতে চায়। দেশে আজকে গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির দুটি গুণ আছে। ভোট চুরি আর মানুষ খুন।

রোববার বিকালে চট্রগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। জনসভা মঞ্চে উঠে চট্টগ্রামের ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর দোয়া মোনাজাত শেষে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম নগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। জনসভা সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিজয়ের মাসে আমি আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। ২৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিজয়ের মাসে এগুলো চট্টগ্রামবাসীর জন্য আমার উপহার। এসময় চট্টগ্রামে প্রয়াত আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন শেখ হাসিনা। এসময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামের কথা সবসময় আমার মনে পড়ে। বাবা জেল থেকে বের হলেই চট্টগ্রামে নিয়ে আসতেন। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় আসতে পারেনি তাই আজ হাজির হয়েছি। এই লালদিঘীর সামনে ১৯৮৮ সালে ২৪ জানুয়ারি আমাকে হত্যা করতে গুলি করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়াও জড়িত ছিলেন। সেই হত্যা চেষ্টাকারী পুলিশ অফিসারকে প্রমোশন দেয়া হয়। বেশি দিন আগের কথা নয়, ২০০১ এর নির্বাচনে পর এই চট্টগ্রামে হিন্দু, বৌদ্ধরা কেউ রেহাই পায়নি, তাদের (বিএনপি) অত্যাচার থেকে।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) মানুষের শান্তি চায় না, তারা ক্ষমতায় থেকে লুটপাট করেছে, জিয়াউর রহমান যখন মারা যান তখন ৪০ দিন পর্যন্ত শুনেছিলাম জিয়াউর রহমান নাকি কিছু দিয়ে যাননি। ভাঙা একটা সুটকেস ছাড়া। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেই হাওয়া ভবনের নামে এতো টাকা কই পেলেন? ভাঙা সুটকেসে কি জাদু ছিল?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির দুটি গুণ আছে। একটি হলো ভোট চুরি, অপরটি মানুষ খুন। ২০১৪ সালে বিএনপি ক্ষমতায় না গিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। তিন হাজারের বেশি মানুষ তখন আহত হয়েছে। ৫০০ এর বেশি মানুষ মারা গেছে। অনেক গাড়িতে আগুন দিয়েছে তারা। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন,মানুষ পুড়িয়ে মারার হিসাব একদিন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে দিতে হবে। বিএনপি দেশের ক্ষতি করে। আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। এই চট্টগ্রামে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকার আছে, এই আইন জাতির পিতা করে গিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি এই আইন ও অধিকার বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়নি। জিয়ার জন্ম কলকাতায় আর পড়াশোনা করেছে করাচিতে। এরপর সেনাবাহিনীতে আসে।

আমরা সেই সমুদ্র জয় করেছি। আজ সেগুলো আমাদের কাজে লাগছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমাদের বিদ্যুৎ নিয়ে কিছু দিন কষ্ট হয়েছিল। ভবিষ্যতে আর হবে না ইনশাল্লাহ। তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ, সাশ্রয়ী হতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করতে হবে। আপনারা জানেন না, এই শীতকালে ইউরোপের ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের কী অবস্থা। তারা মানুষ গরম পানি পাচ্ছে না। তারা রুম হিট করতে পারছে না। এক রুমের মধ্যে সমস্ত পরিবার নিয়ে থাকতে হচ্ছে। দোকানে গেলে জিনিস কিনতে পারে না। হয়তো এক প্যাকেট জিনিসের বেশি একটি পরিবার কিনতে পারবে না। এমন অবস্থা তাদের। আমি বলতে চাই, বাংলাদেশে এই অবস্থা হবে না। আমরা মানুষের সবরকম সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখবো কিন্তু আপনাদের সহযোগিতা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের গড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ করোনার সময় আমাদেরকে সহযোগিতা করেছে। কাজেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখনও পৃথিবীর অনেক দেশ থেকে মজবুত। সারা বিশ্বব্যাপী এখন খাদ্য, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের অভাব। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি আমাদের দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। জামায়াত-বিএনপিকে দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আপনারা ভোট দিয়ে আবারও আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করবেন। আপনারা হাত তুলে ওয়াদা করেন। আপনারাই আমার পরিবার, আপনারাই আমার সব।

২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিএনপির আন্দোলনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা, মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করার জবাব একদিন খালেদা জিয়া-তারেক জিয়াকে দিতে হবে, এর হিসেব একদিন জনগণ নেবে। রিজার্ভ এবং ব্যাংকে টাকা নেই বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে অভিযোগ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটা গুজব ছড়ানো হচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আমি, আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অপপ্রচার করছে। অথচ এই কয়েকদিনে যারা টাকা তুলতে গেছে তারা সবাই তো টাকা তুলতে পেরেছে। মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখানে আমার, একটা কথা আছে আপনি ব্যাংকে টাকা রাখবেন, না আপনি খাটের নিচে, বালিশের নিচে না আলমারিতে রাখবেন, চোরেও তো নিয়ে যেতে পারে। সমাবেশে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2023 Channel69tv.net.bd
Design & Development BY ServerNeed.com