বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন
শ্রদ্ধেয় সরাফত স্যার, একটি বেদনার বিদায়,,,,,!!!
মনদীপ ঘরাই,,,,,,,,,,
কল্পণাতেও যা ছিল না, তাই ঘটে গেলো চোখের সামনে। আপনি নেই। লিখতে চেয়েও লিখতে পারছি না। বারবার চোখ ঘোলা হয়ে আসছে জলে।
দূর থেকে আপনার মন বোঝা কঠিন। সব ধারণা ভেঙ্গে গেছে, যারা একবার আপনার সাথে মন খুলে মিশতে পেরেছে । অসম্ভব প্রানোচ্ছল একজন মানুষ হারালাম। একজন সত্যিকারের অভিভাবক হারালাম। জীবন সায়াহ্নে এসে লেখালিখির নেশায় পাওয়া একজন কবি হারালাম।হাসপাতালে যাওয়ার আগের ফোনটাও আপনি আমাকে দিয়েছেন স্যার। কিছু করার সুযোগটাও পেলাম না। আপনার নিথর দেহটাকে শূণ্য হৃদকম্পণ নিয়ে পড়ে থাকতে দেখেছি শুধু।
আপনার পর্বতসম স্নেহের প্রতিদান কতটুকু দিতে পেরেছি জানি না, তবে আজীবন বেঁধে রেখে গেলেন এক মমতার বাঁধনে।
অনেক অনেক লেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্যার। প্রথম উপন্যাসটা অসমাপ্ত থেকে গেলো। কলকাতার ভ্রমণ কাহিনীটাও রয়ে গেল গল্পে গল্পে।লেখা হবে না কোনদিন।
আপনার সাথে গোপালগঞ্জ যাবার কথা ছিল। এই যে স্যার, আমি গোপালগঞ্জ থেকে ফিরছি। আপনাকে চিরনিদ্রায় শুইয়ে দিয়ে ফিরছি।
দোল পূর্ণিমার রাতে একটা কবিতা লিখেছিলেন। কোথাও ছাপবেন বলে। হলো না…
আপনি কি জানতেন স্যার, চলে যাচ্ছেন? তা না হলে এমন করে লিখলেন কেন?
“একদিন তো সব শেষ হবে
কিন্তু আমি আবার ফিরে আসব।
দোল পূর্নিমার পূন্য তিথিতে
চাঁদের নীচে একটি তারা।
এই তো আমি….”
মানুষ ফেরে না। ফিরে আসে স্মৃতিগুলো। ঘিরে থাকে সুখের সময়ে, দুঃখের সময়ে।
ইতি,
মনদীপ