রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-তান্ডবে পতেঙ্গার বিভিন্ন স্থানে জলোচ্ছ্বাস ও ক্ষয়ক্ষতি…!
হোসেন বাবলা::২৫অক্টোবর,চট্টগ্রাম
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তান্ডবে পতেঙ্গা বিভিন্ন স্থানে জলোচ্ছ্বাস ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে । এলাকার চরপাড়া-নাজির পাড়া,চরবস্তি,বিজয়নগর,নেভাল এরিয়া,কাঠগড় মুসলিমাবাদ জেলে পাড়া, খেজুঁর তলা,দক্ষিণ হালিশহরের জেলে পাড়া( বেড়ীবাধঁ),নয়াহাট, হিন্দুপাড়া, নিউ মুরিং,মধ্যম হালিশহর,হালিশহর-আনন্দবাজার,মুন্সিপাড়া সহ আশ-পাশের নিচু এলাকায় বেশ কিছু অংশ ক্ষয়ক্ষতি অল্পতে রক্ষা,তবে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে নিন্মাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। যাহা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫/৭ফুট পানি উচ্চতে আসে বলে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানায়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কেন্দ্র বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। সোমবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতের দিকে ঝড়টি উপকূল অতিক্রম করে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।রাত সোয়া ১২টায় আবওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কেন্দ্র বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে।
এখন এটি সামনের দিকে যাচ্ছে।আবহাওয়া অফিস জানায়, ভোলার পাশ দিয়ে রাত ৯টার দিকে সিত্রাংয়ের কেন্দ্র উপকূলে প্রবেশ করে। এর অগ্রভাগ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপকূলে আঘাত করে। এছাড়া নগরীর বন্দরের গোসাইলডাঙ্গা-মাদার বাড়ী, আগ্রাবাদ এলাকা, চান্দগাও,বহাদ্দারহাট ও বাকলিয়া-খাতুনগঞ্চ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে কারণে জলোচ্ছ্বাস ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানীরা জানান। ফলে গোদামের ব্যাপক মালামাল সহ নিচের কাচাঁমাল-শুকনো খাবার, চাউল-ডাল সহ নিত্যপণ্য পানিতে ডুবে গেছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নোয়াখালী, ভোলা, বরিশাল ও কক্সবাজারসহ উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়েছে।বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূইয়া জানান, ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যায় উপকূলে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৯ ফুট (৩ মিটার) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হয়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংএর ক্ষয়ক্ষতি দেখতে রাতেই সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, ,বেক সিটি মেয়র আ,জ,ম নাছির উদ্দিনকাউন্সিলর হাজী ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী,হাজী জিয়াউল হক সুমন, মহিলা কাউন্সিলর মিসেস শাহানুর বেগম, আব্দুল বারেক, শৈবাল দাশ সহ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক টিমও পরিদর্শন করেছেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক টিমের কর্মকরতাদেরও উপকূলীয় এলাকায় আসতে দেখা গেছে। আর রেডক্রিসেন্ট টিম রাতভর মাইকিং করে লোকজনদের নিরাপত আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন।