শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
*সিএমপি বন্দর থানা পুলিশ কর্তৃক চাঞ্চল্যকর শিশু সুরমা আক্তার (৭) ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, ঘটনায় জড়িত আসামী রিকশা চালক মোঃ ওসমান হারুন মিন্টু (৪৪) গ্রেফতার এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত রিকশা জব্দ ।*
সূত্রঃ সিএমপি বন্দর থানার মামলা নং- ০৬, তারিখ-১৮/১/২০২২ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৯ (২)
চাঞ্চল্যকর শিশু সুরমা আক্তার (৭) ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, ঘটনায় জড়িত আসামী রিকশা চালক মোঃ ওসমান হারুন মিন্টু (৪৪) গ্রেফতার এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত রিকশা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে সিএমপি বন্দর থানা পুলিশ এর একটি চৌকশ টিম। গত ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ ঘটিকার সময় বন্দর থানাধীন আবাসিক পোর্ট কলোনী সংলগ্ন ৮ নং রোডের মাথায় বন্দরের পরিত্যক্ত ঘরে একটি শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রথমে মৃত শিশু সুরমা আক্তার (৭) এর পরিচয় সনাক্ত হয়। যার পিতা একজন রিকশা চালক। সংসারে অভাবের তাড়নায় শিশু সুরমা আক্তার (৭) পথে পথে ভিক্ষাবৃত্তি করত। হালিশহর থানাধীন বুইল্লার কলোনী নামক স্থানে তারা ভাড়া থাকত। মৃত শিশু সুরমা আক্তার (৭) এর মৃতদেহের অবস্থানের ভিত্তিতে বন্দর থানায় সূত্রোক্ত মামলা রুজু করা হয়। শিশু সুরমা আক্তার (৭) ধর্ষণ ও হত্যা মামলার ঘটনাটি পুলিশের নজরে আসার পরপরই বন্দর থানা পুলিশসহ তদন্তকারী বিভিন্ন সংস্থা রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) এর নেতৃত্বে বন্দর থানা পুলিশের একটি চৌকশ টিম সার্বক্ষণিক শিশু সুরমা আক্তার (৭) ধর্ষণ ও হত্যা মামলা উদ্ঘাটনের প্রয়োজনে বন্দর থানা, হালিশহর থানা এবং ডবলমুরিং মডেল থানার শতাধিক সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করেন। এছাড়াও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও গোপন সোর্সের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে গত ১২ অক্টোবর, ২০২২ খ্রিঃ রাত্র অনুমান ০৭.৩০ ঘটিকার সময় ডবলমুরিং মডেল থানার বেপারী বাজার এলাকা হতে ঘটনায় জড়িত আসামী মোঃ ওসমান হারুন মিন্টু (৪৪), পিতা- মৃত আলী আজম, মাতা- শ্যামলা খাতুন, সাং- হাজিপুর সিরাজ সর্দার বাড়ি, ০৯নং ওয়ার্ড, পৌরসভা, থানা- বেগমগঞ্জ, জেলা নোয়াখালী-কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত গ্রেফতারকৃত মোঃ ওসমান হারুন মিন্টু (৪৪) জানায় বিরিয়ানি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ খ্রিঃ রাত্র ০৯.১৫ ঘটিকার সময় হালিশহর কে-ব্লক স্বপ্ন শপের পাশে হতে শিশু সুরমা আক্তার (৭)-কে তার রিকশায় উঠায়। বড়পুল রাস্তায় বট বিরিয়ানি খাওয়ায়। পোর্ট কলোণী সংলগ্ন ৮ নং রোডের মাথায় বন্দরের পরিত্যক্ত ঘরে শিশু সুরমা আক্তার (৭)-কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং শিশুটির গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনার পর সে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারন করে পলাতক থাকে।
উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) মহোদয়ের সার্বিক তত্তাবধায়নে সহকারী পুলিশ কশিশনার (বন্দর জোন) এর নেতৃত্বে বন্দর থানা পুলিশের একটি চৌকশ টিম শিশু সুরমা আক্তার (৭) ধর্ষণ ও হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করে।