রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
ইপিজেড থানাধীন মাতৃ সদন-২ হতে চুরি যাওয়া নবজাতক শিশুটি ইপিজেড থানা পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার এবং গ্রেফতার ০৫
গত ২৮/০৮/২০২২ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬.০০ ঘটিকার সময় ইপিজেড থানাধীন তালতলা গলি, নেভী হাসপাতাল গেইটস্থ মমতা মাতৃসদন-২ হতে এজাহার নামীয় মোঃ মোরশেদ আলম, মোঃ সেলিম ও মোঃ আবুল কাশেম সহ অজ্ঞাতনামা মহিলা নার্স এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন পরস্পরের যোগসাজসে ও সহায়তায় ০১ টি নবজাতক শিশু কে চুরি করে নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় নবজাতক শিশুর বাবা বাদী মোঃ শহিদুল ইসলাম থানায় হাজির হয়ে এজাহার দায়ের করে।
উক্ত ঘটনায় তাৎক্ষনিক সংবাদের ভিত্তিতে অফিসার ইনচার্জ সহ থানার অন্যান্য অফিসার ও মোবাইল টিম তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল ইপিজেড থানাধীন মমতা মাতৃসদন-২ এ উপস্থিত হয়ে উক্ত ক্লিনিকের ০৩ জন কর্মচারীকে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যে মতে ঘটনার সহিত জড়িত থাকায় মামলায় গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের প্রদত্ত তথ্য, স্বীকারোক্তি এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর) জনাব শাকিলা সোলতানার সার্বিক দিক নির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) ও অফিসার ইনচার্জদ্বয়ের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ আনোয়ারা থানা পুলিশের সহায়তায় ঘটনায় চুরি হওয়া নবজাতক শিশু (১ দিন) কে উদ্ধারের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় একটানা ৩০ ঘন্টা বিরামহীন শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার গহীন এলাকা হতে উক্ত নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়
এবং ঘটনায় জড়িত মূল হোতা শিমু দাশ ও রিমন মল্লিক কে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা জানায় যে, গ্রেফতারকৃত শিমু দাশের গর্ভে থাকা ০৫ মাসের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেলে সে তার স্বামী রিমন মল্লিক সহযোগে বাচ্চার জন্য বিভিন্ন জায়গায় ছুটাছুটি করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত ২/৩ দিন পূর্বে ইপিজেড থানাধীন তালতলা গলি, নেভী হাসপাতাল গেইটস্থ মমতা মাতৃসদন-২ এ আসে এবং গ্রেফতারকৃত অন্যান্যদের সাথে যোগাযোগ করে একটি নবজাতক শিশু চুরির বিষয়ে আলোচনা করে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৮/০৮/২০২২ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ১৫:৩০ ঘটিকায় ইপিজেড থানাধীন তালতলা গলি, নেভী হাসপাতাল গেইটস্থ মমতা মাতৃসদন-২ হাসপাতাল আসে এবং মমতা মাতৃসদন-২ অবস্থান করে নবজাতক শিশুর পরিবারের গতিবিধি লক্ষ করে সুযোগ সন্ধান করে গত ২৮/০৮/২০২২ইং তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ১৮.০০ ঘটিকার সময় গ্রেফতারকৃত মোঃ মোরশেদ আলম (৪২), মোঃ সেলিম (৩৯) ও মোঃ আবুল কাশেম (৩০)সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের সহায়তায় নবজাতক শিশুকে চুরিয়া করে নিয়ে যায়।
গ্রেফতারঃ ১। মোঃ মোরশেদ আলম (৪২), পিতা-মৃত আবুল কাসেম, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর, বর্তমানে- নেভী হাসপাতাল গেইট ফুডল্যান্ড মার্কেট, ৬ষ্ট তলা, থানা-ইপিজেড, জেলা-চট্টগ্রাম(মমতা মাতৃসদন-২ এর সুপার ভাইজার), ২। মোঃ সেলিম (৩৯), পিতা-মোঃ আব্দুল ছাত্তার, মাতা-মোছাঃ আয়শা বেগম, সাং- হারিশপুর, বক্স আলী চেরাং এর বাড়ী, থানা-সন্দ্বীপ, জেলা-চট্টগ্রাম, বর্তমানে-পোর্ট কলোনী, ১৩নং রোড, রেলওয়ে একাডেমি গেইট, থানা-বন্দর, জেলা-চট্টগ্রাম, (মমতা মাতৃসদন-২ এর সিকিউরিটি গার্ড), ৩। মোঃ আবুল কাশেম (৩০), পিতা-মৃত মহিবুর রহমান, মাতা-মঞ্জুর বেগম, সোনাসার, ৭নং বারটাকুরী ইউনিয়ন, দক্ষিণ জামে মসজিদে পাশে, মহিবুর রহমানের বাড়ী, থানা-জকিগঞ্জ, জেলা-সিলেট, বর্তমানে-পোর্ট কলোনী, ৬নং রোড, ১৬৪/বি, থানা-বন্দর, জেলা-চট্টগ্রাম (মমতা মাতৃসদন-২ এর সিকিউরিটি গার্ড) ৪। শিমু দাশ (২০), স্বামী-রিমন মল্লিক, পিতা-রাখল দাশ, মাতা-ঝর্ণা দাশ ও ৫। রিমন মল্লিক (২৬), পিতা-দিপাল মল্লিক, মাতা-আংকু মল্লিক, উভয় সাং- পূর্ব বারখাইন, মল্লিক বাড়ী, ডাকঘর-তৈলারদ্বীপ, থানা-আনোয়ারা, জেলা-চট্টগ্রাম।