শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন
সীতাকুণ্ডে গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টা, ইউপি সদস্যসহ ৪ জনকে আসামী করে মামলা
সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ
সীতাকুণ্ডের কুমিরা ইউনিয়নে মনোয়ারা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ১ ইউপি সদস্যসহ ৪ জনকে আসামী করে চট্টগ্রাম আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে। ২৭ ডিসেম্বর সোমবার রাতে মামলাটি সীতাকুণ্ড মডেল থানায় সংযুক্ত করা হয়। ধর্ষণ চেষ্টা ও সহায়তা করার অপরাধের অভিযোগ তুলে করা মামলায় আসামীরা হচ্ছে কুমিরা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড নিউ রাজাপুরের মৃত এবাদুক হক সোহানীর পুত্র আব্দুল মতিন (৪২), ৭ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য মৃত সোলতান আহম্মদের পুত্র মোঃ আলাউদ্দিন (৪৫), একই এলাকার মৃত সৈয়দ আহমদের পুত্র মহিউদ্দিন মনি (৪২), মৃত শফি উল্লাহর পুত্র দেলোয়ার হোসেন স্টার (৪৫)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশি হওয়ার সুবাদে মামলার ১ নং আসামী আব্দুল মতিন ভুক্তভোগী নারী মনোয়ারা বেগমের বাড়িতে প্রায় যাতায়াত করত। একসময় আব্দুল মতিন মনোয়ারা বেগমের উপর লোলুপ দৃষ্টি দেয় এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের অগোচরে তাকে কু-প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায়
আব্দুল মতিন মনোয়ারা বেগমকে এসিড ছুড়ে মারা, দেখে নেয়া, জোরপূর্বক ধর্ষণ করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে গত ২৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আব্দুল মতিন মামলার ২ নং আসামী মোঃ আলাউদ্দিন, মহিউদ্দিন মনি ও দেলোয়ার হোসেন স্টারকে নিয়ে মনোয়ারা বেগমের ঘরে ঢুকে পড়ে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে আব্দুল মতিন মনোয়ারা বেগমকে শ্লীলতাহানি করে। এসময় আব্দুল মতিন মনোয়ারা বেগমকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ভুক্তভোগী নারী অভিযোগে উল্লেখ করেন ধর্ষণের চেষ্টাকালে আব্দুল মতিনকে ইউপি সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন, মহিউদ্দিন মনি ও দেলোয়ার হোসেন স্টার তার দুহাত ধরে রাখে এবং আব্দুল মতিন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে মনোয়ারা বেগম চিৎকার-চেঁচামেচি করলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে অভিযুক্তরা মনোয়ার বেগমকে চড়-থাপ্পড দিয়ে শারীরিকভাবে আহত করে ঘটনা প্রকাশ না করার হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী নারী মনোয়ারা বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত-৩) এর ৯(৪)(খ)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী গণমাধ্যমে কথা না বললেও তার ছেলে ইব্রাহিম খলিল নিশান বলেন, আসামীরা লম্পট ও দুশ্চরিত্রের। আমি তাদের শাস্তি চাই। আমরা থানায় মামলা দায়ের করেছি। নিজের মায়ের ব্যাপারে এ নিয়ে আর বেশি কিছু বলতে পারছিনা। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তদন্ত সুমন বনিক বলেন,আদালতের আদেশে মামলাটি এফআইআর হিসেবে নেয়া হয়েছে,আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ বিষয়ে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নাছির উদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, গতকাল রাতে মামলাটি পেয়েছি। ভুক্তভোগী নারী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।