শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীদের ভ্যাট-ট্যাক্স মওকুফ করে প্রণোদনার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ০৫আগস্ট
শুক্রবার (৬ আগষ্ট) থেকে নগরীর দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল খুলে দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম দোকান মালিক সমিতি। এ ছাড়া সমিতি আওতাভুক্ত ব্যবসায়ী, শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য টিকা দান বুথের ব্যবস্থা করা, করোনাকালীন ক্ষতির কথা বিবেচনা করে, সরকারী বিভিন্ন ফি যেমন ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, ট্যাক্স এক বছরের জন্য মওকুফ করে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা প্রদানের আবেদন জানানো হয়েছে।
বুধবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, চট্রগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি আলহাজ্ব ছালামত আলীর সভাপতিত্বে উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ইউছুপ ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রেজিষ্ট্রেশনকৃত ব্যবসায়ী সংগঠন। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, চট্টগ্রাম মহানগরের অধীনে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ দোকান মালিক ও সাড়ে ১০ লাখ শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছে। ২০২০ সালের ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেন। জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও সরকারী সিদ্ধান্তকে যথাযথ সম্মান করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম মহানগরের আওতাধীন সকল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ রেখেছিল। তখন থেকে দফায় দফায় লকডাউনের প্রভাবে সারা দেশের ব্যবসায়ীদের ন্যায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির আওতাভূক্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে নেমে আসে চরম দূর্দশা। এ চরম দূর্দশায় কিছু ক্ষতি পোষাতে রমজান, ঈদুল আযহা, পুজা, পহেলা বৈশাখসহ বিভিন্ন মৌসুমে ব্যবসা করে করে থাকে। কিন্তু চলমান লকডাউনে তা করতে ব্যর্থ হয়ে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়ে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, এই করোনা মহামারীর সময়ে দীর্ঘদিন ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ থাকা স্বত্ত্বেও ব্যবসায়ীগণ সরকারী ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্সসহ যাবতীয় সকল ফি প্রদান করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। অথছ এই লক ডাউনের কারণে যদি ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করতে না পারে, তাহলে তারা তাদের পূঁজি হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, সারা দেশের ব্যবসায়ীদের ন্যায় আমাদের সমিতির আওতাধীন লক্ষাধিক ক্ষুদ্র মাঝারি দোকানের ব্যবসায়ী শ্রমিক কর্মচারী ও তাদের পরিবার আজ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায়ীগণ তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিবে, কর্মচারীরা তাদের চাকরি হারাবে। দেশে বেকারত্ব বেড়ে গিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে। এই পরিস্থিতে তারা উপরোক্ত দাবি বাস্তবায়নে সরকারের কাছে জোর দাবি জানা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সমিতির মহাসচিব মো. জহিরুল হক ভুইয়া, ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রফিউজ্জামান, টাইলস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল বেলাল, কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ জাকির হোসেন প্রমুখ।