বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
অবশেষে কৌশলে ধরা পড়লো বাটপার ভূয়া ব্যারিস্টার।
ডেক্স নিউজ ঃঃ
চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকায় সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে ঘুরাঘুরি ও চাঁদা বাজি করছে প্রায় শ খানেক প্রতারক,, তারা নাম সর্বস্ব কিছু পত্রিকা ও অনলাইনের কার্ড ধারন করে, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পুরো ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকা।খবর নিয়ে জানাজায়, তাদের অনেকেরই নেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষা যোগ্যতা।সাংবাদিক পেষাটা একটি সম্মানজনক পেষা হলেও প্রকৃত পেশাজীবীদের জন্য বিড়ম্বনার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরকমই এক বাটপার কামরুল ইসলাম হৃদয় নামের এই প্রতারক।। সে কখনো ডক্টরেট ডিগ্রিধারী আবার কখনো ব্যারিস্টার পরিচয় দিয়ে মানুষকে হয়রানি ও মোটা অংকের চাঁদা বাজি করে আসছিলো বহুদিন ধরে,, ভুক্তভোগী ইপিজেড নিউমুরিং এলাকার কয়েকজন তাকে ফাঁদ পেতে ধরে ফেলে,পরে তাকে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির কাছে হস্তান্তর করেন এবং কোতোয়ালি থানায় সফর্দ করে,,ভুক্তভোগী মহল থেকে এক মেসেজ বার্তায় জানায়
অামি শফিকুল ইসলাম রনি। অামি অনার্স ৩য় বর্ষের ব্যাবস্থানাপনা বিভাগ এর ছাত্র। অামি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অামির হামজা ভাইয়ের অনুসারী। তার নেতৃত্বে ই,পিজেড থানায় ছাত্র রাজনীতি করি। অামরা এই ভুয়া এ্যাডভোকেট এর নামে অনেক গুলো রিপোর্ট পেয়েছি,যে উনি নাকি ব্যারিস্টার,
সাংবাদিক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ব্যাবহার করে নিরীহ মানুষ, যারা একটু সরলসোজা তারাই হয় এর মূল টার্গেট করে এদের কে বিভিন্ন অাইনি সেবা দিবে বলে এদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে এ অামাদের মূল টার্গেটে অাসে কিছু দিন অাগে অামাদের এলাকার পরিচিত একজন গার্মেন্টস কর্মকতা মো ঃ অাকাশ অাহাম্মেদ নামের এক লোক কে তার স্ত্রী কে বিবাহ বিচ্ছেদ করিয়ে দিবে বলে বিভিন্ন অাইনি ঝামেলা দেখিয়ে বারে বারে প্রায় ৯১ হাজার টাকা নেয়।কিন্তু তার বিবাহ বিচ্ছেদ সঠিক ভাবে হয়নি।যার ফলে তার বৌয়েক করা মামলায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং এ কারনে ওই অাকাশ কে প্রায় ১মাস জেল খাটতে হয়েছে।
পরে অাকাশ জামিনে বের হয়ে অামাকে ব্যাপার টি জানায়।তাই অামরা বিষটা অামাদের নেতা মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অামির হামজা ভাইকে জানাই।পরে তার নির্দেশে অামরা ওর খোজ নিতে শুরু করি।পরে অনেক কৌশল করে বিভিন্ন লোক লাগিয়ে খোজ নেই।পরে গতকাল সকাল ৯ টা থেকে ওরে ধরার জন্য চেষ্টা করি। পরে অন্য এক জনকে দিয়ে ওরে কল করাইয়া বলি যে তার গাড়ির কাগজ বানাতে হবে এইটা বলে তাকে ধরার চেষ্টা করি পরে ওনি ওই লোকের সাথে দেখা করে দুপুর ১ টার দিকে বন্দর থানার ট্যাকের মোড়।
অামরা ওই লোককে ফলোকরে ওর পিছু পিছু জাই ওখানে।তার পর যখন ওই ভুয়া ব্যারিস্টার যখন তার সাথে দেখা করে অার অামরা তাকে গিয়ে ধরে ফেলি।এসময় অামার সাথে ছিল অামার সহ যোদ্ধা দূর্জয়, শামিম,অাল অামিন ও ওই অাকাশ। তার পর তাকে অামরা নিয়ে যাই অামাদের এ্যাডভোকেট মীর তোফাজ্জেল হোসেন তপু ভাইয়ের কাছে।পূর্ব থেকেই তার কাছে অামারা ব্যাপার টা বলেছিলাম। তাই উনি বলেছে তোমরা অামার কাছে নিয়ে অাসো ব্যাবস্থা যা নেয়ার অামরা নিবো তোমরা কিছু বলিও না।
পরে অামির হামজা ভাইর সহায়তায় এ্যাডভোকেট মীর তোফাজ্জেল হোসেন তপু ভাইয়ের চেম্বারে কোর্ড বিল্ডিং শাপলা ভবনে নিয়া গেছি।পথি মধ্যো ও অামাদেরকে বিভিন্ন টাকার লোভ দেখাইছে এবং অনেক নেতার ও প্রশাসনের হুমকি দিয়েছে। কিন্তু অামরা তার ফাদে পা দেইনি।তপু ভাইয়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরে সে ওরে বিভিন্ন বিষয় প্রশ্র করে। কিন্তু ও কিছুরই উত্তর দিতে পারেনাই।অামাদের কাছে ও শিকার যায় যে ও অাসোলে ভুয়া ব্যারিস্টার। পরে তপু ভাই ওকে অাইনজীবী সমিতির কাছে তুলে দেয়।