বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৮ অপরাহ্ন

Notice :
সারা বাংলাদেশ ব্যাপী বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে..........চট্টগ্রাম অফিস: সৈয়দ নূর বিল্ডিং , এম এ আজিজ রোড, সিমেন্ট ক্রসিং, দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম।মোবাইল নাম্বারঃ ০১৯১১৫৩৩৩০৮, ০১৭১১৪৬৭৫৩৭, E-mail: gsmripon@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ৪৭৫.২৫ কোটি টাকার চেক মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট হস্তান্তর। হযরত আব্দুল কাদের জ্বিলানী (রহঃ) সুন্নিয়া ফ্রি ফোরকানিয়া মাদ্রাসার উদ্ভোধন দক্ষিণ হালিশহর আকমল আলী সমূদ্র ঘাটে আগুনে পুড়েছে ৩৫ দোকান ঘর পাহাড়তলী থানার অভিযানে একটি দোনলা বন্দুকসহ দুইজন সন্ত্রাসী গ্রেফতার। সেন্টমার্টিনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী বিতরণ করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বন্দর নগরীর আকবরশাহ’তে এলাকাবাসীর মাদক বিরোধী সমাবেশ অভয়নগরে বিএনপির উদ্বোগে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের মৃত্যু বার্ষিক পালিত। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে স্বনির্ভর করতে চাই: ডা. শাহাদাত হোসেন ৩ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ CHRW এর চেয়ারম্যানের সাথে পার্বত্যাঞ্চল কমিটির সৌজন্য সাক্ষাত

অভয়নগরে কাচাঁ মরিচের মূল্য চড়া দিশে হারা ক্রেতারা।

 

অভয়নগরে কাচাঁ মরিচের মূল্য চড়া দিশে হারা ক্রেতারা

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি-

অভয়নগরের নওয়াপড়ায় কাঁচা মরিচের মূল্য চড়া দিশে হারা ক্রেতা সাধারণ। সপ্তাহের ব্যবধানে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচের কেজি প্রতি মূল্য এখন ২৫০-২৬০ টাকা। বিক্রেতারা বন্যা ও আমদানির দোহাই দিলেও দিশেহারা ক্রেতা সাধারণ।
একই সঙ্গে গুজব ছড়িয়ে বাড়তি দাম নেয়ার অভিযোগও রয়েছে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীরা বলেন, গত কিছু দিন ধরে টানা বর্ষণে সরবরাহে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যে পরিমাণ কাঁচা মরিচ এসেছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। সরবরাহে ঘাটতির কারণে কাঁচা মরিচের দামে এ পরিস্থিতি। এদিকে সরবরাহ সংকটের কথা বলা হলেও নওয়াপাড়ার বড় বাজার সহ বিভিন্ন বাজারগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ কাঁচা মরিচ দেখা গেছে। তবে দাম বেশি থাকায় মরিচের বেচাকেনা কমেছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
অভয়নগর উপজেলা ও পৌর সভার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একশ’ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৭ টাকায়। অর্থাৎ এই হিসাবে এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম দাঁড়ায় ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। যেখানে গত সপ্তাহেও একশ’ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়।
পৌর সভার চেঙ্গুটিয়া কাঁচা বাজার করতে আসা গৃহীনী রাবেয়া বেগম বলেন, বাজারে কোনো কিছুরই দাম কম নেই। এখন কাঁচা মরিচের বাড়তি দামে আমরা দিশে হারা। কিন্তু বাসায় নানা রকমের রান্নায় কাঁচা মরিচ লাগেই। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমার স্বামীর তো আয় বাড়েনি। কিন্ত প্রতি নিয়তো জিনিস পত্রের দাম যে ভাবে বাড়ছে আমাদের মতো সাধারণ পরিবারের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও কিছু করার নাই। বেঙ্গল গেট কাচাঁ বাজারের তরকারি ব্যাবসায়ী নজরুল বলেন, পাইকারি বাজারে বাড়লে তার প্রভাব খুচরা বাজারেও পরে। বর্তমানে দ্বিগুণের বেশি দাম দিয়ে পাইকারি বাজার থেকে মরিচ কিনে আনতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে যে সবজি বাজারে ছিল সহজলভ্য, এখন তার সরবরাহ অনেকটাই কমে গেছে।
বাজারের অপর বিক্রেতা ডিলার বলেন, কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমেছে। এখন ২৫০ গ্রাম মরিচ ৬৫ টাকার (কেজি ২৬০ টাকা) নিচে বিক্রি করলে লোকসান দিতে হবে। পাইকারি বাজার থেকে এক পাল্লা (৫ কেজি) মরিচ ১ হাজার ১০০ টাকায় কিনেছি। এরপর যাতায়াত ভাড়া আছে। কেনা দামই পড়েছে কেজি ২২০ টাকা। অন্যান্য খরচ যোগ করলে এর চেয়ে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।
আড়তদারা বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা মরিচ বেশি বিক্রি হয়েছে। এখনও বাজারে তেমন মরিচ নেই। অন্যদিকে দেশে বন্যার কারণে মরিচ উৎপাদন আগেই কমেছে। ফলে বাজারে দেশি মরিচের সরবরাহ কম। এ কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। তবে আমদানি করা মরিচের সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দাম আবারও কমবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2023 Channel69tv.net.bd
Design & Development BY ServerNeed.com