শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৫ অপরাহ্ন
আড়ংঘাটায় প্রেস ক্লাবের নামে চাঁদাবাজি, নেপথ্যে ইমদাদুল হক মিলন
খুলনা মহানগর আড়ংঘাটা থানা এলাকার শুলুয়া বাজারে গড়ে উঠেছে একটি প্রেস ক্লাব। ঢাল নেই তলোয়ার নেই, নিধিরাম সরদার । নামমাত্র প্রেস ক্লাব গড়ে উঠলেও কাজে কিছুই নাই। গ্রামের গৃহিনী মহিলাদের সুলভমূল্যে ঢাকার একটি পত্রিকার কার্ড করে দিয়ে প্রেস ক্লাবের সদস্য বানিয়ে আর্থিক সুবিধা লুটছে প্রেস ক্লাবটির একক আধিপত্যের নায়ক ইমদাদুল হক। এই তো সেদিন আড়ংঘাটা মোড় থেকে ডুমুরিয়া পর্যন্ত বাইকে ভাড়ায় যাত্রী নেওয়া আসা করত ইমদাদুল । হঠাৎ আলাউদ্দিনের দৈত্য ধরিয়ে দেয় সাংবাদিকতার কার্ড । নিজের নাম স্বাক্ষর করতে না পারলেও পত্রিকার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক হিসেবে জাহির করেন। ইতিমধ্যে প্রশাসনের নজরে এসেছে ইমদাদের গড়া এই কথিত প্রেস ক্লাবটি। গত ১৯ আগষ্ট আড়ংঘাটা দক্ষিন পাড়া এলাকার জব্বার শেখের পুত্র আলমগীর ইমাদাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হুমকির বিষয় নিয়ে একটি জিডি দায়ের করেন সংশ্লিষ্ট থানায়। যার জিডি নং: ৬৯৩, তাং-১৯/০৮/২০২০। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেস ক্লাবের এক সাবেক সদস্য জানান, “অনেক প্রথিতযশা সাংবাদিক প্রথম দিকে প্রেস ক্লাবটিতে নাম লেখায় । পরবর্তীতে ইমদাদ ও মামুন নামে দুইজন সাংবাদিক প্রেস ক্লাবের নামে চাঁদাবাজি করায় অভিযোগে সড়ে যান ওই সব সাংবাদিক। পরে আলু পেঁয়াজের দরের মত যাকে ইচ্ছা তাকে প্রেস ক্লাবের সদস্য করে ইমাদাদ।” কে এই ইমদাদ ? এখন তার পরিচয় দিব আপনাদের। তবে রিপোর্টের শেষ পর্যন্ত যেতে হবে আপনাদের।
ডুমুরিয়া এলাকার এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর পোষ্য ক্যাডার হিসেবে ইমদাদের প্রথম দিকের পরিচয় ঘটে। পরবর্তীতে ইমদাদ মেম্বর নির্বাচনে দাঁড়ায়। তবে নির্বাচনে ভরাডুবি হয় তার। শেষমেষ মটর সাইকেলে যাত্রী টানার পেশায় নাম লেখান। তবে সহজে বেশি টাকা ইনকাম করার পথ খুঁজতে থাকে ইমদাদ। দেখতে চিকন চাকন। লম্বা হবে সাড়ে ৪ ফুট বা তার একটু বেশি। তবে মুখের বুলি শুনে মনে হবে তিনি আড়ংঘাটা এলাকার অঘোষিত শাহেন শাহ্ । কথার রাজ্যে যে কাউকে স্বপ্ন দেখাতে পুটু ইমদাদ। চাকরি দেওয়ার ব্যবসা শুরু করলেও তেমনটি আশার আলো দেখতে পারেনি। ২০১৫ সালের দিকে সাংবাদিকতা ব্যনারে নিজের নাম লেখান। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকতা পেশাকে কলংকিত করে চাঁদাবাজির পেশা হিসেবে বেছে নেয়। আড়ংঘাটা, ডুমুরিয়া, ফুলতলা, দাকোপ, পাইকগাছা, তেরখাদা সহ সাতক্ষীরার বিভিন্ন রিমোটেড এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন খাদ্য প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ বেকারী, মিষ্টির দোকান , প্রাইভেট ক্লিনিক, ডায়াগস্ট্রিক সেন্টার সহ মাদক পয়েন্ট থেকে মাসোয়ারা তোলে। তার সাথে যোগদেয় আড়ংঘাটা এলাকার কয়েকজন নাই পাশ সাংবাদিক । অর্থাৎ স্কুলের গন্ডির সাথে পরিচয় নেই এমন কয়েকজন সাংবাদিকের । জানাযায়, সাংবাদিকতার পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠনে জড়িত হয়। তবে মানবধিকার হরণ করার কাজ করতে। এখানেই শেষ নয়। ইমদাদ প্রয়োজনে থানার ওসিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কুৎসা রটায়। যেসকল ওসি তাকে কোন সুযোগ সুবিধা দেয় না। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার মূলক তথ্য সরবরাহ করে।এদিকে আড়ংঘাটা প্রেস ক্লাবটিকে দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ আনছে বিভিন্ন ব্যবসায়ি মহলের কাছ থেকে। ইমদাদের হয়রানিতে দিশাহারা আড়ংঘাটাবাসি। প্রশাসন সরেজমিনে তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে আর অজানা অনেক তথ্য। তাই অচীরেই ইমাদাদুল হক মিলনের মত অসৎ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে খুলনা প্রেস ক্লাব সহ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।
আগামী প্রতিবেদনে বিস্তারিত আসছে।