শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ন

Notice :
সারা বাংলাদেশ ব্যাপী বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে..........চট্টগ্রাম অফিস: সৈয়দ নূর বিল্ডিং , এম এ আজিজ রোড, সিমেন্ট ক্রসিং, দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম।মোবাইল নাম্বারঃ ০১৯১১৫৩৩৩০৮, ০১৭১১৪৬৭৫৩৭, E-mail: gsmripon@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
সিটি গেইটে ৮ কেজি গাঁজাসহ একজন গ্রেফতার ডোমার বহুমুখী বিদ্যালয়ের শত বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন বন্ধুত্বের ফাঁদে ফেলে বিবস্ত্র করে ভিডিও-ধারণ করে প্রতারণা চক্রের ৭ জন গ্রেফতার আহারে সাংবাদিক ! আহারে সাংবাদিকতা !! কিশোরগঞ্জে মাটি খুরতেই বেড়িয়ে এলো থ্রি- নট থ্রি রাইফেল,দুটি মাইন,১টি গ্রেনেড নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু,,! প্যারাসুট অ্যাডভান্সড অ্যালো ভেরা নিয়ে এলো মেহজাবীন ও সিয়ামের সাথে ডান্স চ্যালেঞ্জ বামনডাঙা নদীর জমি সরকারের নামে লিপিবদ্ধ করার দাবিতে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন পত্র হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা – মেয়র রেজাউল সড়ক দুর্ঘটনায় বিদেশি নাগরিকের মৃত্যু,,!

পাহাড় কেটে রাস্তা বানানোয় ১০ কোটি টাকা জরিমানা

পাহাড় কর্তনের মাধ্যমে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করার দায়ে একটি প্রকল্পকে প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকার মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট শাখায় এর পরিচালক জনাব রুবিনা ফেরদৌসীর কার্যালয়ে দীর্ঘ শুনানি শেষে ওই প্রকল্পকে ১০,৩৮,২৯,৫৫৩ টাকা ক্ষতিপূরণ ধার্য করেন।

ক্ষতিপূরণ ধার্যের সার সংক্ষেপ নিম্নে তুলে ধরা হলো:

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন ইউনিভার্সিটির বহিঃসীমানা দিয়ে লুপ রোড নির্মাণসহ ঢাকা ট্রাংক রোড থেকে বায়েজিদ বোস্তামী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটির নির্মাণাধীন সড়কের দৈর্ঘ্য ৫.৯৬০ কিলোমিটার যার মধ্যে ১৮টি পাহাড় রয়েছে। সর্বমোট ২.৬৬ কিলোমিটার জায়গার পাহাড়ী ভূমি কর্তণের প্রয়োজন ছিল। বায়েজিদ বোস্তামী রোড থেকে ঢাকা ট্রাংক রোড পর্যন্ত লিংক রোড নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৩৮১.১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৯৯৯ সালে একনেক কর্তৃক বর্ণিত প্রকল্পের পূর্বে অন্য একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়।

ওই প্রকল্পের অধীনে বায়েজিদ বোস্তামী প্রান্ত থেকে ০২ কিঃ মিঃ পর্যন্ত ২-লেনের রাস্তার নির্মাণ কাজ করা হয়। এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন কে সরকার কর্তৃক ১০৪.৪০ একর জমি প্রদান করার কারণে সেই সময় প্রকল্পটি আর সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি।

এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সিডিএ কর্তৃক নির্মিত ৪ হাজার ফুট দীর্ঘ ১২০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা (১১ একর) গত ২০১০ সালের ২২ নভেম্বরে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনকে আরও ২৬.৯৭ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণ-পূর্বক বরাদ্দ দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৩ থেকে ডিসেম্বর ২০১৮ মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। ওই প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।

ওই প্রকল্প পরিচালক ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল পরিবেশগত ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেন। পরে ওই বছরের ৩ নভেম্বর ইআইএ এর কার্যপরিধি অনুমোদন করা হয়। এবং ২০১৭ সালে প্রকল্পটির ইআইএ অনুমোদনের জন্য সদর দপ্তরে প্রেরণ করা হলে সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রকল্পের আওতায় পাহাড়/টিলা ও সমতল ভূমির পরিমাণ, পাহাড় ও টিলা কর্তন কিং বা মোচন করার বিষয়টি জাতীয় অপরিহার্য বিবেচনায় সরকারের অনুমোদনপত্র, প্রকল্প এলাকার পাহাড়/টিলা থেকে কি পরিমাণ মাটি সংগ্রহ করা হবে ও সংগৃহীত মাটি ব্যবস্থাপনার উপর সংশোধিত ইআইএ দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

প্রকল্প বাস্তবায়নকালে বিভিন্ন মৌজার দাগ নং- ৩৫৭, ৩৫৮ ও ৩৫৯ এর কিছু কিছু অংশে পূর্বে পাহাড় কর্তন করা হয়েছিল। প্রকল্প পরিচালকের ভাষ্যমতে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে প্রকল্পের যন্ত্রপাতি এবং নির্মাণ সামগ্রী রাখার জন্য পাহাড় কর্তন করা হয়। এ প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ৪ মে প্রকল্প পরিচালককে নোটিশ প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক অনুমোদন দাখিল করার জন্য বারবার সময় নিয়েও অনুমোদন দাখিল করতে না পারায় সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতীত পাহাড় কর্তনের দায়ে ন্যূনতম হারে আনুমানিক ১ হাজার ফুট লম্বা ও ২০ ফুট চওড়া পরিমাণ পাহাড় কর্তনের দায়ে গত ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বরে ১০ লাখ ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছিল। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ধার্যকৃত টাকা পরিশোধ করেন। পরিচালক এর নির্দেশক্রমে ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর প্রকল্পের সরেজমিন পরিদর্শন প্রতিবেদন, বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের স্কেচ ম্যাপ ও ভিডিও চিত্র এবং ১৯৯৫ সালের মাস্টার প্ল্যান এর কপি মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরণ করে।

গত ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়।

অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, যে উত্তর পাহাড়তলী মৌজার বি এস দাগ নং ২০০ (অংশ), ৩০১ (অংশ) এবং ৩০২ (অংশ) এর উত্তর সীমানায় ৯০ ডিগ্রী সমকোণে ১০০ ফুট উচ্চতার পাহাড় অনিরাপদভাবে কর্তন করা হচ্ছে। উক্ত সীমানার সন্নিকটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ছাত্রীদের আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য সুস্পষ্টভাবে নির্ধারিত আছে। এ প্রেক্ষিতে প্রকল্প পরিচালক পত্র মারফত জানান যে দাগ নং ২০০ (অংশ). ৩০১ (অংশ) ও ৩০২ (অংশ) এর উত্তর সীমানা দিয়ে এলাইমেন্টের অংশটুকু সম্পূর্ণ বুঝিয়ে দেয়ার পর পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের শর্তানুসারে ঢালের স্থায়িত্ব ১:২ অনুসারে রাখা, পাহাড়ের ঢালে ঘাস ও জিওজুট লাগানসহ পাহাড়ের প্রোটেকশনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সহকারী প্রকৌশলী জনাব আশরাফুল আলম জানান যে রাস্তার প্রাথমিক কাজ শেষ হবার পর পাহাড়ের ঢাল ১:২ বজায় রাখার কাজ শুরু হবে।

পরিদর্শন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যে পাহাড়ের ঢাল ১:২ বাজায় রাখার জন্য আরও যে অংশ পর্যন্ত পাহাড় কর্তন করা হবে, তাতে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এর ছাত্রী হোস্টেলের জন্য নির্ধারিত স্থানে তা নির্মাণ করা অসম্ভব। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত ভূমি বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী সমঝোতা করা যুক্তিযুক্ত হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2023 Channel69tv.net.bd
Design & Development BY ServerNeed.com