শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৩ অপরাহ্ন
মহানগর গোয়েন্দা(বন্দর) বিভাগের অভিযানঃ চোরাই-চক্র কর্তৃক বিশেষ কৌশলে(সীল অক্ষত রেখে) চোরাইকৃত ৩০০০ পিস বেড-শীট ও বেড-কভার সহ ০৩ জন গ্রেফতার
ডেক্স নিউজ ঃ
মহানগর গোয়েন্দা(বন্দর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ ফারুক উল হক, পিপিএম এর সার্বিক দিক নির্দেশনায়, অতিঃ উপ পুলিশ কমিশনার(ডিবি-বন্দর) জনাব এ.এ.এম হুমায়ুন কবীর, পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার(ডিবি-বন্দর) জনাব মোঃ ইয়াসির আরাফাত এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র)/ জনাব মোহাম্মদ আলমগীর ১৭ নং টিমের সহায়তা পতেঙ্গা থানার মামলা নং০৯, তাংঃ১৯/৪/২০২১খ্রিঃ, ধারাঃ৪০৭/৩৪ পেনাল কোডের তদন্তকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৫/৪/২০২১খ্রিঃ ইপিজেড থানাধীন র্যাব-৭ গলি এবং বন্দর থানাধীন মাইলের মাথা ও নিমতলা ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাইকৃত ৩০০০ পিস বেড শীট ও বেড কভার সহ মোঃ সাইফুল(২৬), মোঃ সজীব(২৫) ও মোঃ হেলাল কে গ্রেফতার করেন।
গত ১৫/৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অবস্থিত কায়সার সানকো জেবি ট্যাক্সটাইল লিঃ জাপানের সানকো কোম্পানি লিঃ এর জন্য প্রস্তুতকৃত ১৪,২৩৩(চৌদ্দ হাজার দুইশত তেত্রিশ) পিস বেড শীট ও বেড কভার শিপমেন্টের জন্য নারায়গঞ্জ হতে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে পরিবহনকালে পথি মধ্যে সংঘবদ্ধ চোরাই চক্র কর্তৃক ৩০০০(তিন হাজার) পিস বেড-শীট ও বেড-কভার চুরি হয়। পরবর্তীতে এ সংক্রান্তে কায়সার সানকো জেবি ট্যাক্সটাইল লিঃ কর্তৃক এজাহার দায়েরের প্রেক্ষিতে পতেঙ্গা থানার মামলা নং-০৯, তারিখ-১৯/৪/২০২১ খ্রিঃ, ধারা- ৪০৭/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
মামলাটির তদন্তকালীন সময়ে এসি (ডিবি-বন্দর)/মোঃ ইয়াসির আরাফাত এর নের্তৃত্বে ডিবি-বন্দর এর একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে জাপানের সানকো কোম্পানির জন্য প্রস্তুতকৃত ১৪,২৩৩(চৌদ্দ হাজার দুইশত তেত্রিশ) পিস থেকে চোরাইকৃত ৩০০০(তিন হাজার) পিস বেড-শীট ও বেড-কভার চট্টগ্রাম মহানগরের ইপিজেড থানাধীন র্যাব-৭ গলি এবং বন্দর থানাধীন ২নং মাইলের মাথা ও নিমতলা ট্রাক টার্মিনাল হতে সম্পূর্ন মালামাল উদ্ধার করে এবং চুরির সাথে সংশ্লিষ্ট সংঘবদ্ধ চোরাই চক্রের ৩(তিন) সদস্যকে আটক করেন।
রপ্তানির জন্য প্রস্তুতকৃত গার্মেন্টস পণ্য পরিবহনকালে চুরি যাওয়া আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সংঘবদ্ধ চোরাই চক্র রপ্তানি পণ্য পরিবহনকালে বিশেষ কৌশলে (সীল অক্ষত রেখে) কার্টুন থেকে কিছু মালামাল চুরি করে রেখে দেয়, যা বাহির থেকে দেখে বুঝার কোন উপায় নেই। পরবর্তীতে রপ্তানিকৃত দেশে রপ্তানি পণ্য পৌঁছার পর নির্দিষ্ট পরিমাণ থেকে কম পাওয়া যায়। যা আমাদের দেশের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এবং রপ্তানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। দেশের রপ্তানি আয়ের উপর আঘাতকারী এ ধরনের কার্যক্রম রোধে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সর্বদা সর্তক ও সচেষ্ট।
প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীগণ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং বিভিন্ন সময়ে তারা রপ্তানির জন্য প্রস্তুতকৃত গামেন্টস পণ্য পরিবহনকালে বিশেষ কৌশলে কার্টুনের কিছু মালামাল চুরি করে সরিয়ে রাখে। চলমান অভিযানে চুরি হওয়া সম্পূর্ণ মালামাল(৩০০০ পিস বেড-শীট ও বেড-কভার) উদ্ধার করা হয়েছে এবং পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।