শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন

Notice :
সারা বাংলাদেশ ব্যাপী বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে..........চট্টগ্রাম অফিস: সৈয়দ নূর বিল্ডিং , এম এ আজিজ রোড, সিমেন্ট ক্রসিং, দক্ষিণ হালিশহর, চট্টগ্রাম।মোবাইল নাম্বারঃ ০১৯১১৫৩৩৩০৮, ০১৭১১৪৬৭৫৩৭, E-mail: gsmripon@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
অভয়নগরে বিএনপির উদ্বোগে সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের মৃত্যু বার্ষিক পালিত। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে স্বনির্ভর করতে চাই: ডা. শাহাদাত হোসেন ৩ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে বন্দর থানা পুলিশ CHRW এর চেয়ারম্যানের সাথে পার্বত্যাঞ্চল কমিটির সৌজন্য সাক্ষাত ব্যবসায়ী তাহসিন হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। খাগড়াছড়ি মহালছড়িতে বিশ্বশান্তির মঙ্গল কামনায় সংঘদান ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অফ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর আহ্বায়ক কমিটি গঠন। চট্টগ্রাম মহানগর ইলেকট্রিক থ্রি হুইলার যানবাহন মালিক ফেডারেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সিএমপির বন্দর থানার অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ধারালো অস্ত্রসহ দুইজন গ্রেফতার মন্দিরের দানবাক্স ভেঙে চুরি, টাকা সহ ২ চোর আটক

দুঃখ খ্যাত ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত

 

দুঃখ খ্যাত ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত

শেখ আলী আকবার সম্রাট যশোরঃ

দুঃখ খ্যাত ভবদহ এলাকাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে জোয়ারাধার (টিআরএম) চালুর দাবীতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ মানববন্ধন অংশ নিয়েছে । শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সমাবেশ এবং ১১ থেকে১২ টা পর্যন্ত যশোর মশিয়াহাটীতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মাটির ঘর ডুবে গিয়ে জল চালে উঠে গিয়েছে। আর যা কিছু ছিলো সব এখন পানির নিচে। পানি না সরালে এভাবে আর জীবন চলে না।কথাগুলো বলছেন যশোরের জলাবদ্ধ জনপদ ভুক্তভোগী বাসিন্দা।

বহু মানুষের দুর্গতি অনেক সময় ২/১জন প্রভাবশালী ব্যক্তির জন্য অর্থপ্রসূ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। তাঁরা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সেই দুর্দশার অবসান তো চায়ই না বরং সেটিকে যথাসম্ভব প্রলম্বিত করার চেষ্টা করেন। সুবিধাপ্রাপ্ত সেই ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের কারণে নির্বল দুর্দশাগ্রস্তদের দুঃখের তিমির শেষ হয় না।

এই মনুষ্যলালিত সুদীর্ঘ দুর্দশার নির্মম ছবি যশোরের ভবদহ অঞ্চলের মানুষ দেখে আসছে। যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে এই অঞ্চল। সেখানে ছোট–বড় ৫৪টি বিল আছে। এ অঞ্চলের পানি ওঠানামার পথ মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদী। কিন্তু সব নদীই কমবেশি ভরাট হয়ে বিলের চেয়ে উঁচু হয়ে গেছে। ফলে বর্ষায় নদীর পানি বিলে ঢুকে সব তলিয়ে যায়। এবার প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষায় প্রতিবছরই নদী খননসহ নানা প্রকল্প নেয় সরকার।

গত ৪/৫ বছরে ভবদহে খনন প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভবদহ অঞ্চলের মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদীর পানি চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১৪টি প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকার পাইলট চ্যানেল খননকাজ হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর কোনো উপকার হয়নি।

এরই মধ্যে প্রায় ৮০৮ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প নিয়েছে । ‘ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ নামের এই প্রকল্পে ৬২টি নদী ও খাল পুনঃখনন, খালের ওপর ১৯টি কালভার্ট নির্মাণ, বাঁধ ও সড়ক নির্মাণ এবং ২০টি স্লুইসগেট নির্মাণ ও সংস্কারের কথা উল্লেখ আছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের খুশি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা বলছেন, কয়েক বছরে ভবদহের খনন প্রকল্পে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পুরো টাকাই পানিতে গেছে। নতুন করে ৮০৮ কোটি টাকার প্রকল্পে মন্ত্রী, সাংসদ, ঠিকাদার ও ব্যক্তিবিশেষের বড় আকারে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হবে, ভবদহের জলাবদ্ধতা দূর হবে না।

শনিবার সকালে মণিরামপুর উপজেলার জলাবদ্ধ মশিয়াহাটি স্কুল মাঠের সামনে রাস্তায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে জলাবদ্ধ এলাকার বাসিন্দারা সহ আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, সংগ্রাম কমিটিগণ অংশ নেন । এই সময় বক্তারা, ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাদের উল্লেখ করে বলে অভিযোগ করেন। এই টিআরএম ভবদহ বাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। স্থানীয়ভাবে যারা এ বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছেন তাদেরও প্রাণের দাবি এই টিআরএম সুতরাং, যত দ্রুত এই পদ্ধতি কার্যকর করা যাবে, তত দ্রুতই পানিবন্দি এ দশা থেকে মুক্তি মিলবে।।।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2023 Channel69tv.net.bd
Design & Development BY ServerNeed.com